স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ জুন, ২০১৮ ২৩:২৩

জয় দিয়েই মিশন শুরু সেনেগালের

আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়লো পোল্যান্ডের

আফ্রিকার দেশ সেনেগাল প্রথম বারের মত বিশ্বকাপে এসেছিল ২০০২ সালে। সবাইকে চমকে দিয়ে সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল দলটি। এরপর ১৬ বছরের দীর্ঘ বিরতি। দলটির বিশ্বকাপ প্রত্যাবর্তন হলো রাশিয়ায়। তবে চমকে দেয়ার স্বভাবটা যেন রয়েই গিয়েছে সেনেগালিজদের ধমনিতে। এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়ে দিয়েছে শক্তিশালী দল পোল্যান্ডকে। যদিও শেষ মুহূর্তে পোলিশদের গোল ম্যাচে অন্যরকম কিছুর আভাস দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে সেনেগাল।

খেলার প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটেই গোল করে সেনেগালকে এগিয়ে দেন ইদ্রিসা গুইয়ে। যদিও গোলটিকে আত্মঘাতী হিসেবেই ধরা হচ্ছে। কারণ, ইদ্রিসা গুইয়ের দুর্দান্ত শটটির গতিপথ আটকে দিয়েছিলেন থিয়াগো সিওনেক। তার পায়ের সঙ্গে লেগেই মূলত: বল চলে যায় পোল্যান্ডের জালে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে গোল হজম করে বসে পোলিশরা। তার আগে সাদিও মানে এবং এমবায়ে নিয়াংয়ের সম্মিলিত আক্রমণ থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন ইদ্রিসা।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ম্যাচের ৬০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সেনেগাল। এই গোলটায় অবশ্য পোল্যান্ডের ডিফেন্ডারদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। কারণ, তাদের অমার্জনীয় ভুলেই এমবায়ে নিয়াং গোলটি পেয়ে যান। সেনেগালের রক্ষণ থেকে বলটা চলে আসে মিডফিল্ডে। ক্রিচোইয়াক ব্যাক পাস দিয়েছিলেন উঁচু করে। পরিবর্তিত খেলোয়াড় বেডনারেক পুরোপুরি অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিলেন। বল বাঁচাতে অনেকখানি এগিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক এসচিজনিও। কিন্তু তিনিও ক্লিয়ার করতে পারলেন না। বল ফাঁকি দিয়ে চলে যায় পোল্যান্ডের ডি বক্সে। সেখানে সামনে কেউ নেই। ফাঁকা পোস্ট। দৌড়ে বলে পেছন পেছন এলেন নিয়াং। আলতো শটে জড়িয়ে দিলেন পোল্যান্ডের জালে।

খেলার ৮৬ মিনিটে একটি গোল শোধ করে দেয় পোল্যান্ড। কামিল গ্রোসিকির ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেড করেন গ্রেগোরিজ ক্রিচোইয়াক। সেই হেডটিই জড়িয়ে যায় সেনেগালের জালে। এরপর খেলার বাকি অংশে সমতায় ফেরার জন্য চেষ্টা করেও পারলো না আর পোল্যান্ড। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই তাই জয়ের আনন্দে নেচে ওঠে সেনেগাল।

ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য সেনেগালের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে খেলার চেষ্টা করছিল পোল্যান্ড। কিন্তু ১৮ মিনিটেই গোলর দারুণ সুযোগ তৈরি করে নেয় সেনেগাল। জিয়েলিনস্কির একটি দুর্বল পাস থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনেগালের সাবালি। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে এমবায়ে নিয়াংকে বল ঠেলে দেন সাবালি। অসাধারণ পাস। কিন্তু বলটিকে শটে পোস্টের ওপর দিয়ে পার করে দেন তিনি বাইরে। দারুণ আক্রমণের একটি বাজে ফিনিশিং ছিল ওটা।

৩০ মিনিটে লেওয়ানডস্কি একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হলেন। একটি লং পাস থেকে বক্সের মধ্যে বল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেনেগাল গোলরক্ষক খাদিম এনদিয়াই তাকে ব্যর্থ করে দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত