স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৮ ১৫:০৭

যেভাবে ফাইনালে ফ্রান্স

আজ পর্দা নামবে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের। দীর্ঘ একমাস ধরে চলা ‘ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে টিকে রয়েছে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তবে প্রথম বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকেট পেলো ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ফ্রান্স মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার

এদিকে ৩২ টি দলে মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে যেভাবে ফাইনালে উঠছে ১৯৯৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এক মাসে তাদের খেলার পারফরমেন্স।

প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের মূলপর্বের শুরুতে খুঁজে পাওয়া যায়নি ফ্রান্সের খেলায়। পল পগবা, কাইলিয়ান এমবাপে, উসমানে ডেম্বেলেদের নিয়ে গড়া দল অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। সেটিও একটি পেনাল্টি, অপরটি আত্মঘাতী গোলের সুবাদে!

দ্বিতীয় ম্যাচে আরও করুণ দশা। পেরুর মতো দলের বিপক্ষে জিততে ঘাম ছুটে যায় ফরাসিদের। ৩৪ মিনিটে কাইলিয়ান এমবাপে গোলে উদ্ধার।

গোলে ভরা রাশিয়া বিশ্বকাপে কেবল একবারই দেখেছে গোলহীন ম্যাচ। সেটা এই ফ্রান্সের কল্যাণেই। আগেভাগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ডেনমার্কের বিপক্ষে একদম প্রাণহীন ফুটবল খেলেছেন গ্রিজম্যান-এমবাপেরা। খানিকটা সমালোচনাও হয়েছে তখন। এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে দলটি।

সমালোচনা কিংবা ভালো খেলার তাগিদ, আসল ফ্রান্সকে খুঁজে পাওয়া যায় নকআউটে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে গতিময় ফুটবল, ছন্দময় পাস আর আক্রমণের পসরা সাজানো ম্যাচ উপহার দেয় তরা। একসময় ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেরা আটে ফরাসিরা। জোড়া গোলে বিশ্বের নজর আরও একবার নিজের দিকে টেনে নেন কাইলিয়ান এমবাপে।

কোয়ার্টারে কোনো একক নৈপুণ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি, বরং উরুগুয়ের বিপক্ষে দলগত এক ফ্রান্সের দেখা মেলে। এডিনসন কাভানিবিহীন উরুগুয়েকে রুখে দিতে একসঙ্গে আক্রমণে উঠে আবার একসঙ্গে নিচে নেমে খেলতে থাকে দলটি। দারুণ প্রদর্শনীর পর ফলাফল ২-০ গোলের জয়। ভারানের হেডে গোলের পর গ্রিজম্যানের দূরপাল্লার শট ঠেকাতে গিয়ে উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেয়ারার ক্ষমার অযোগ্য ভুল করে বসেন, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় উরুগুয়ে।

পরে সেমিফাইনালের ম্যাচ। কোয়ার্টার পর্যন্ত আধিপত্য থাকলেও বেলজিয়ামের বিপক্ষে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত জয়টা দেখে দেশমের দলই। নামি-দামি ফরোয়ার্ড থাকলেও দলকে জেতাতে এগিয়ে আসতে হয় স্যামুয়েল উমতিতিকে। ডিফেন্ডারের হেডেই সেমির মহাতরী পার হয়ে যায় ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ঘরে তোলা থেকে এখন কেবল এক কদম দূরে। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত