স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৮ ২৩:৪১

পেলের পাশে এমবাপে

ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় পেলের এক অনন্য কীর্তি স্পর্শ করেছেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে।

চলতি বিশ্বকাপে শনিবার শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন এমবাপে। মাত্র ১৯ বছর ৬ মাস বয়সে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে জোড়া গোল করলেন এমবাপে।

আর ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিক সুইডেনের বিপক্ষে ১৭ বছর ৮ মাস বয়সে জোড়া গোল করেছিলেন পেলে। ফলে বিশ্বকাপ আসরে এক ম্যাচে সবচেয়ে কম বয়সে জোড়া গোল গড়ার কীর্তি এখন পেলে ও এমবাপের।

কিংবদন্তি পেলের পাশে বসতে পেরে উচ্ছ্বসিত এমবাপ্পে বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। পেলের মতো কিংবদন্তির রেকর্ডের পাশে নাম থাকলে কার না ভালো লাগে। তবে পেলে অন্য এক উচ্চতার খেলোয়াড়। তবুও এমন কিছু অর্জন দিয়ে কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের নামের পাশে নিজের নাম বসাতে পেরে ভালোই লাগছে।

এমবাপের রেকর্ড স্পর্শ করা ম্যাচে ফ্রান্স ৪-৩ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোয়ার্টারফাইনালে উঠলো।

তিন বছর আগেই হাইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন যিনি, তার কাছে এই সম্মান জীবনের সেরা হতেই পারে। তবে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগটা কাজে লাগাতে পেরে আরো খুশি এমবাপে।

তার কথায়, বিশ্বকাপে দুনিয়ার সেরা ফুটবলাররা খেলে। এখানেই নিজেকে প্রমাণ করার সব চেয়ে বড় সুযোগ। ফুটবলার হিসেবে আমি কী করতে পারি, আমার কী ক্ষমতা, তা প্রমাণ করার এটাই সবচেয়ে ভাল জায়গা। এমন একটা জায়গায় নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে তাই আমি খুবই খুশি।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বড় ভক্ত এমবাপের বাড়ির দেওয়ালে ভর্তি পর্তুগিজ তারকার পোস্টার। ব্রাজিলের তারকা নেইমার দা সিলভা স্যান্টোসের (জুনিয়র) সঙ্গে প্যারিস সাঁ জারমাঁয় খেলেন। এই দুই তারকার প্রভাবই যে তার ফুটবলে বেশি, তা তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

বিশ্বকাপের আগে এমবাপে বলেছিলেন, রোনালদোকে বরাবরই আমি খুব পছন্দ করি। ওর আগ্রাসন আমার পছন্দ। আর এখন নেইমারের কাছ থেকে যা শিখছি, সেগুলো খেলায় মেশানোর চেষ্টা করি। এতে অনেক উন্নতি করেছি।

ফুটবলের বাইরেও তার অন্য একটা জীবনও আছে। সমাজসেবায় নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান এমবাপে। প্যারিসের একটি সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। বলে দিয়েছেন, বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচ থেকে ২০ হাজার ইউরো দান করে দেবেন বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সাহায্যে।

এক বছর আগে মোনাকো ছেড়ে পিএসজিতে আসায় নেইমারের পরে তিনিই হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত