২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২২:৫১
গত বারো মাসে টেস্ট খেলুড়ে চার দেশের অধিনায়কসহ পাঁচ অধিনায়ককে ম্যাচ পাতাতে জুয়াড়িরা প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিসির এসিইউ জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল। তবে জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়া ওই পাঁচ অধিনায়কের নাম গোপন রেখেছেন মার্শাল।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আইসিসির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, একই সময়ে ৩২টি সন্দেহজনক ঘটনায় তদন্ত চালিয়েছে আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ)।
তিনি জানান, জুয়াড়িরা ম্যাচের সময় মাঠের সব পরিকল্পনা অধিনায়কই ঠিক করেন অধিনায়কদের টার্গেট করে এগুতে চেষ্টা করে। কিছু নির্দিষ্ট ঘটনার উদাহরণ টেনে আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট তাদের কাজের প্রক্রিয়া উপস্থাপন করে।
এশিয়া কাপ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের সোমবার দুবাই স্পোর্টস সিটিতে অবস্থিত আইসিসির সদর দপ্তরে নিমন্ত্রণ ছিল।
সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে চলা আইসিসির নানাবিধ কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইসিসির বিদায়ী প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ।
দুর্নীতি দমন ইউনিটের কার্যক্রম তুলে ধরতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন মার্শাল। তিনি জানান, গত ১২ মাসে ৩২টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়েছেন তারা। যারমধ্যে ২৩টি অভিযোগই এসেছে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের কাছ থেকে। এরমধ্যে ৮ জন ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সেই ক্রিকেটাররা কোন পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
কেবল ক্রিকেটাররাই নন, ৫ জন সংগঠক এবং অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফকেও রাখা হয়েছে সন্দেহে। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার ফাঁস করা ডকুমেন্টারির প্রসঙ্গও উঠে আসে তার উপস্থাপনায়।
মার্শাল জানান, জুয়াড়িদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। এবং তাদের মূল্য লক্ষ্য বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিশেষ করে বিভিন্ন বোর্ডের অধীনের বাইরে প্রাইভেট টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে জুয়াড়িদের রমরমা অবস্থা। এসব ঠেকাতে কীভাবে গোয়েন্দা ও এনিলিস্ট উইং নিয়ে তারা খাটছেন তা বুঝিয়েছেন তিনি।
আপনার মন্তব্য