স্পোর্টস রিপোর্ট

১২ জুলাই, ২০১৫ ২০:৩৭

‘ফিনিশার’ নাসির এখন ‘সেরা অফস্পিনার’!

তাঁর পরিচয় ছিলো ফিনিশার হিসেবে। লেয়ার মিডল ওর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতেন। পরিচয় ছিলো দূর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবে। বাজপাখির মতো লাফ দিতে ধরে ফেলেন তিনি। তিনি নাসির হোসেন। এখন তাঁর পরিচয় হয়ে উঠেছে স্পেশালাইজড বোলার।

গত কিছুদিন ধরেই দূর্দান্ত বোলিং করছেন নাসির হোসেন। দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রো এনে দিচ্ছেন। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন দূর্দান্ত ডেলিভারিতে। আর রান দেওয়ার ক্ষেত্রেও একেবারে হাড়কিপ্টে।

তাই তো টাইগার দলপতি মাশরাফি অবলীলায় বলতে পারেন, ‘সীমিত ওভার ক্রিকেটে নাসির আমাদের দলের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার।’

দলনেতার এমন স্বীকৃতির প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়ে চলছেন নাসির। আজকের ম্যাচেই দেখুন না, তিন উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজের সাথে দলের সের বোলার তো নাসিরও।

এরআগে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ বোলিং করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৬.৪ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৩১ রান। অবশ্য উইকেট পাননি। দারুণ বোলিং করেছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে। পুরো ১০ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৩৩ রান। পেয়েছিলেন মূল্যবান দুই উইকেট। দুই সেট ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দলের অতিপ্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন নাসিরই।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের তিন ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের ভূগিয়েছেন নাসির। ২য় ওনাডেতে ইনিংসের ১৯তম ওভারে নাসির আক্রমণে এসে প্রথম বলেই রিলে রুশোকে বোল্ড করেন। ২৯তম ওভারে ক্রমেই টাইগারদের গলার কাঁটা হয়ে থাকা ডু প্লেসিসকে ফিরিয়ে দেন নাসির হোসেন। দলীয় ৪৫তম ওভারে নাসির হোসেনের তৃতীয় শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন কাইল অ্যাবোট। টাইগার এ অলরাউন্ডারের দারুণ এক ঘূর্ণিতে কাবু হয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন অ্যাবোট।

একটা সময় যিনি ছিলেন ‘ফিনিশার’, সেই নাসির এখন বিবেচিত হচ্ছেন দলের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার হিসেবে! এমন প্রশংসা শুনে নাসির রসিকতার সুরেই বলেছিলেন, ‘যে বনে বাঘ নেই, সেখানেই বিড়ালই বাঘ! আমাদের একাদশে অফ স্পিনার নেই। এ কারণে হয়তো তিনি (মাশরাফি) আমাকে অন্যতম সেরা বলেছেন।’

নাসির তাঁর মতোই। ‘সিরিয়াস’ ব্যাপারটা ঠিক ধাতে সয় না।

ক্রিকেটটাও উপভোগ করেন সেভাবেই। তিনি নিজে না মানলেও রুয়ান কালপাগে হয়তো ‘সিরিয়াস’। নাসিরকে আরেকটু ঝালিয়ে নিতে পারলে বাঁ হাতি স্পিনারদের ভিড়ে বাংলাদেশের ​বোলিং আক্রমণে আরও বৈচিত্র্য আসবে।

মাশরাফির মন্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে, বোলার হিসেবে দলে কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠছেন ক্রমেই। বোলিংয়ের ধারটার সঙ্গে যদি পুরোনো সেই ফিনিশার তকমাটাও ধরে রাখতে পারেন, তাহলে তো একেবারে পোয়াবারো। বাংলাদেশকে আর পায় কে!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত