স্পোর্টস ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০১৮ ২১:০৪

অভিষেকে ‘ডাক’ ফজলে রাব্বির

বয়সের কোটা ত্রিশ পেরিয়ে তবেই জাতীয় দলে আসা মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ রাব্বির অভিষেকটা সুখের হলো না। কোন রান করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি।

ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির বাংলাদেশিদের নাই তেমন না, ফজলে রাব্বি হলেন এই তালিকার ত্রয়োদশতম সংযোজন; অর্থাৎ এরআগে বাংলাদেশের আরও ১২ ক্রিকেটার অভিষেকে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।

এরআগে বাংলাদেশের যে ১২জন অভিষেকেই ‘ডাক’ মেরেছেন তাদের মধ্যে দলে নিজের জায়গা পাকা করার সংখ্যা খুবই কম। অভিষেকে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, কিংবা জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাও। তবে এদুজন ১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলার সময় তারা ক্যারিয়ারের শেষের পর্যায়েই ছিলেন।

ডলার মাহমুদ, এনামুল হক জুনিয়র, মনিরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমানও অভিষেকে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। তবে আফতাব আহমেদ নিজেকে চিনিয়েছিলেন ভালোভাবেই।

ওয়ানডেতে ৩০ বছর বয়সে এ পর্যন্ত অভিষেক ঘটেছে মোট ছয়জনের। এর মধ্যে তিনজনের ঘটনা বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচে, অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে। রকিবুল ইসলাম ও সামিউর রহমানের অভিষেক ঘটেছিল ৩৩-এ। আর বোলিং অলরাউন্ডার জাহাঙ্গীর শাহ সেদিন ছিলেন ৩৬-এ। রকিবুল ৫ রান করেছিলেন। বাকি দুজন শূন্য। জাহাঙ্গীর অবশ্য ২ উইকেট পেয়েছিলেন ম্যাচে।

অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন রুবেল হোসেনও। তবে মূলত ফাস্ট বোলার হিসেবে তার পরিচিতি এবং সেভাবেই খেলে যাচ্ছেন।

১৯৮৮ সালে ৩০ বছর বয়সে ওয়াহিদুল গনির অভিষেক হলেও শুধু বল করতে পেরেছিলেন। ক্যারিয়ারের একমাত্র সেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬ ওভারের মতো বল করে কোনো উইকেট পাননি। বাংলাদেশ ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর এর আগে শুধু একজন খেলোয়াড়েরই অভিষেক ঘটেছে ৩০ বছর বয়সে। ব্যাটসম্যান মাহবুবুর রহমান সেলিম। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষিক্ত ম্যাচে ৩ রান করেছিলেন মাহবুবুর। ওই একটা ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের জার্সিতে। রাব্বি তো তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবেই অভিষেকে শূন্য পাওয়া ত্রিশোর্ধ হয়ে নিজেকে হাজির করলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত