সাকিব-তামিম দলে নেই। কিন্তু দলে তার প্রভাব পড়তে দিলেন না মাশরাফিবাহিনী। শুরুতে এবং মাঝে অবশ্য সাকিব-তামিমকে কিছুটা মিস করেছে দল। কিন্তু ইমরুল কায়েসের এক সেঞ্চুরি সব অভাব ভুলিয়ে দিয়েছে। পরের কাজটা মেহেদি-মুস্তাফিজরা বল হাতে করে দিয়েছে। শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ রানের সহজ এক জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেছে।

ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশ হারতে পারে এটা কখনোই মনে হয়নি। রানের হিসেবে ২৮ রানের জয়টা ছোট মনে হতে পারে। তবে উপভোগ্য ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ইমরুল কায়েস দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন। দারুণ এক উদযাপন করেছেন। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং ছিল উপভোগ্য। সাতে পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন দারুণ এক ফিফটি করে দলকে দিয়েছে আস্থার প্রতিদান। মুস্তাফিজের দারুণ কিছু ডেলিভারি। মেহেদি মিরাজের ডট বলা করা আর উইকেট তুলে নেওয়া। নাজমুল অপুর 'নাগিন ড্যান্স'। সবমিলিয়ে টাইগাররা প্রত্যাশিত এক জয় পেয়েছে।

প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের ১৭ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন দাস ও ফজলে রাব্বি। অভিষেক ম্যাচে কোন রান করতে পারেননি রাব্বি। এরপর ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। মাত্র দুই রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মাশরাফির দল। সেখান থেকে ১২৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস এবং সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ ওপেনার ইমরুল ১৪০ বলে খেলেন ১৪৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ইনিংসটি ১৩ চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো ছিল। এছাড়া আট মাস পরে দলে ফিরে ৬৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন সাইফউদ্দিন। মোহাম্মদ মিঠুন ৪০ বলে এক চার ও তিন ছয়ে ৩৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ।

জবাবে শুরুতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এরপর পথ হারায় তারা। দলীয় ১০০ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ক্রেগ আরভিন ও শেন উইলিয়ামস। এরপর আবার ১৪৮ রানে সপ্তম ও ১৬৮ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তারা। নবম উইকেট জুটিতে জারভিসের সঙ্গে উইলিয়ামস গড়েন ৬৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান তোলে তারা। হারে ২৮ রানে। বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপ তাদের অলআউট করতে না পারা।

বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। এছাড়া নাজমুল ইসলাম দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ এবং মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট রান আউটের ফাঁদে ফেলে তুলে নেয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে জারভিস ৪টি এবং টেন্ডি ছাতারা ৩ উইকেট নেন।