স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:৪৫

ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করার কথা ভেবেছিলেন সৌম্য

আলোর রোশনাই ছড়িয়ে ক্যারিয়ার শুরু সৌম্য সরকারের। আগ্রাসী অ্যাপ্রোচ, ব্যাটিংয়ে ধরনে নান্দনিকতায় জিতে নিয়েছিলেন মানুষের মন। ওয়ানডেতে ভুরি ভুরি রান করে গড় নিয়ে গিয়েছিলেন ৫০ ছুঁইছুঁই। তারমধ্যে বড় ক্রিকেটারেরই ছায়া দেখছিলেন অনেকে। সেই তিনিই হঠাৎ করে হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। সেটা যেন আর ফেরার নাম নেই। কোথাও রান পাচ্ছিলেন না, নামছিল গড়। এক সময় মানুষেরই আক্রোশে পরিণত হলেন। দল থেকে বাদ পড়ে প্রায় হারিয়ে যাওয়ার দশা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যামব্যাক করা সেঞ্চুরির পর জানালেন, তার দুঃসময় বাড়িয়ে দিয়েছিল আসলে ফেসবুকের নেতিবাচক সব পোস্ট।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটা খেলারই কথা ছিল না সৌম্যর। খেলার কথা ছিল না এশিয়া কাপেও। দুই জায়গাতেই তিনি উড়ে যান ‘জরুরী তলবে’। এশিয়া কাপে দুই ম্যাচ খেলে গড়পড়তা পারফরম্যান্স করেছিলেন। বাদ যান তাই। জিম্বাবুয়ের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগে ফের তার শরণ। এরমধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ রান করে বার্তা দিয়েই রেখেছিলেন।

তবে আসল খেলা জমিয়ে রেখেছিলেন এই ম্যাচে জন্য। হুট করে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। ডাউন দ্য উইকেটে এসে বিশাল সব ছক্কা, চোখ ধাঁধানো সব কাটে মাত করে ৯২ বলে করেন ১১৭ রান। সাড়ে তিন বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে গত দেড় বছর ধরে পাচ্ছিলেন না ফিফটি। তবে এই সময়ে খেলেছেন মাত্র ৮ ওয়ানডে।

লম্বা সময় কেন রান পেলেন না। সমস্যাটা কি ছিল স্কিলের নাকি মানসিক ঘাটতি? এক সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্ন লুফে দিলেন পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা বলে দিত,  ‘আমার কাছে মনে হয় আমি বাইরের কথা বেশি শুনতাম। ফেসবুকটা যখন ব্যবহার করতাম, তখন নেতিবাচক মন্তব্য গুলো আসতো অনেক, যা মাথায় গেঁথে যেত। মানুষ ইতিবাচক জিনিসটা লিখেও না, নিতেও পারে না।’

ফেসবুকে ভেসে বেড়ানো নানা হেডলাইন আহত করত সৌম্যকে।  এতবেশি ‘রগরগে’ জিনিস দেখে ফেসবুক ব্যবহারই বন্ধ করার কথা ভেবেছিলেন তিনি,  ‘এমন এক একটা হেডলাইন আসত, যেন আমি সবই খারাপ করেছি। আর আমরা বাংলাদেশিরা হেডলাইনটাই বেশি পড়ি। পরে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করব ভেবেছি, নেতিবাচক জিনিস গুলো কম নিব, মানুষের সাথে কথা কম বলব।’

এরকম খারাপ সময়ে অনুশীলনও কমিয়ে দিয়েছিলেন। মনের চাপ কমতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বন্ধুদের, ‘শুধু ইতিবাচক জিনিস নিয়েই বেশি ভাবার চেষ্টা করেছি। অনুশীলনও কম করতাম তখন, যখন খারাপ যায় তখন সবই খারাপ যায়, ভাল করলেও খারাপ হয়। একটু বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতাম সেই সময়ে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত