ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:৩৭

পরাজয় এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?

ম্যাচ শুরুর আগে জয় ভিন্ন অন্য কিছু মাথায়ই ছিলো না বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ দূর্বল জিম্বাবুয়ে, তারউপর মাত্রই ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। ফলে এই টেস্টে জয়ের চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশের।

আলোচনা ছিলো ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়াবে তো? নাকি দু'একদিন হাতে রেখেই জিতে যাবে বাংলাদেশ!

সেসব আশার গুড়েবালি। ম্যাচের মাত্র দু'দিন শেষেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। এতো ব্যাকফুটে যে, প্রশ্ন ওঠেছে এই ম্যাচ বাঁচাতে পারবে তো বাংলাদেশ।

ম্যাচ বাঁচানো বেশ দূরুহ-ই বৈকি। ১০ উইকেট হাতে রেখে ১৩৯ রানে এখনই এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। তারউপর মাথায় রাখুন বাংলাদেশেরর প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং। ড্রয়ের আশাই তো এখন দূরাশা মনে হচ্ছে। আজ (সোমবার) ৩য় দিনটা তাই হয়ে উঠেছে এই টেস্টের গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজই নির্থারিত হয়ে যেতে পারে, কোনদিকে জিতছে ম্যাচ।

এটি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম টেস্ট। এই অভিষেককে রাঙিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এখানকার উৎসবের রংয়ে ছাই ঢেলে দিলেন ব্যাটসম্যানরা। লজ্জ্বাজনক ব্যাটিংয়ে ২য়দিন শেষেই পরাজয়ের হুমকিতে বাংলাদেশ।

গত কয়েক টেস্ট ধরেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অব্স্থা যাচ্ছেতাই। ১১০, ১২৩, ৪৩, ১৪৪, ১৪৯, ১৬৮। সর্বশেষ ছয় টেস্ট ইনিংসে এই হলো বাংলাদেশের রান। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে তাদের এই ব্যর্থতার পুষিয়ে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জিম্বাবুয়ের চেয়ে উত্তম প্রতিপক্ষ আর কে হতে পারতো। অথচ কী আশ্চর্য, এই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেই ফ্লাট উইকেটে রোববার ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করা জিম্বাবুয়ে লিড নিয়ে নিল ১৩৯ রানের!  দ্বিতীয় দিনেই আবার ব্যাট করতে নেমে ১ রান করে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় আছে বড় চ্যালেঞ্জ।

উইকেটে ছিল না অতিরঞ্জিত টার্ন। স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছিলেন বটে তবে রোববার বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিলেন তো দুই পেসারই।  কার চেয়ে কে বেশি বাজে শট খেলে আউট হতে পারেন, এই নিয়েই যেন প্রতিযোগিতা।  ১৯ রানেই পড়ল চার উইকেট, ৪৯ রানে অর্ধেক ব্যাটিংই শেষ। ধুঁকতে ধুঁকতে পরে দেড়শোর কাছাকাছি যাওয়া গেল কেবল ।

আগের দিন দলের হয়ে পেসার আবু জায়েদ রাহি এসে বলে গিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়েকে ৩২০ রানের মধ্যে আটকাতে পারলেই খুশি থাকবেন তারা। এদিন সফরকারীদের লাঞ্চের খানিক আগে ২৮২ রানেই আটকে দিতে পেরেছিলেন বোলাররা। তাইজুল একাই নেন ৬ উইকেট। নিশ্চিতভাবেই বেশ তৃপ্ত থাকার কথা বাংলাদেশের। দিনশেষে সেই তৃপ্তির কথাই তো অস্বস্তির কাটা।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে দিনের একমাত্র সফল মুখ তাইজুল অবশ্য বলেছেন, এখনও আশা আছে বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়েকে ১৫০ রানে আটকাতে পারলে জেতাও সম্ভব।

কিন্তু ব্যাটসম্যানদের এমন দ্বায়িত্বহীনতার প্রদর্শনীর দিনে এই তাইজুলের উপর হার কতটুকুইবা ভরসা রাখা যায়।
 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত