ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৬ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৫

‘মিরপুর টেস্টে বদলাতে পারে ব্যাটিং অর্ডার’

তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান দলে নেই। মানে তাদের অভিজ্ঞতাও ছিলো না বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। তাদের অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা, তা পূরণ করার ভার ছিলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের কাঁধে। সেই ভার বইতে গিয়ে চরম ব্যর্থ এ দুজন। সিলেট টেস্টের শেষ ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ নেমে পড়লেন মুশফিকের আগেই। অথচ মুশফিকেরই তখন বেশি দরকার ছিলো। ওই বদলের কারণটা কী ছিলো?

জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেট টেস্টে অপ্রত্যাশিত হারের পর এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নিজের আগে ব্যাটিংয়ের নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বেশ পজেটিভ ছিলাম। ভেবেছিলাম আমি ভালো খেলে বড় জুটি গড়লে টার্গেটের কাছাকাছি যেতে পারব, আমরা ওই বড় পার্টনারশিপই করতে পারিনি। আপনি বড় জুটি না গড়তে পারলে ম্যাচ জিতবেন না।’

অথচ ইনিংস মেরামতের ভার তার চেয়ে ভালো নিতে পারতেন মুশফিক। ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিজ্ঞতা ও কার্যকারিতায় তার চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে তিনি।

এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এটা টিম ম্যানেজমেন্ট এবং মুশফিকের সঙ্গে কথা বলতে হবে, ও ব্যক্তিগতভাবে কী চাচ্ছে, তা জানতে হবে। কারণ এটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যে কে কোথায় ব্যাট করবে। কাকে কখন কোন জায়গায় খেলাবে। মুশফিককে ছয়ে খেলানো কারণ ওই ব্যাটিং গভীরতা যেন থাকে। আর মুশফিকের পাঁচ, ছয় নম্বরে বড় ইনিংসও আছে।’

সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানো মাহমুদুল্লাহ আরো বলেন, ‘আজকের কথা যদি বলেন, আমি চেয়েছি চারে আসতে। এটা আমার হুট করে নেওয়া সিদ্ধান্ত। কারণ ওই সময় যদি দুজন বাঁহাতি ব্যাটিং করে, তাহলে তা খারাপ হতে পারে। কারণ সিকান্দার রাজা বল করছিল।’

দুই বাঁহাতির কম্বিনেশন তো মুশফিক নামলেও হতো না। তারপরও কেনো তিনিই নামলেন? মাহমুদুল্লাহ এবার বলেন, 'নামতে পারত। নামতে পারত না, এটা তো এমন নয়। সিদ্ধান্তটা এমন ছিলো, আমার মনে হয় ছয় নম্বরে ও বেশ সাবলীল। পাঁচ ও ছয়ে ওর বড় ইনিংস আছে। এই কারণে ও ছয়ে নেমেছে। পরের ম্যাচে হয়তো ব্যাটিং অর্ডার বদলে যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত