ক্রীড়া প্রতিবেদক

১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৫:৫৬

খালেদকে পুরস্কৃত করলেন কোচ

বর্তমানে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স এইচপি দলের হয়ে পারফর্ম করা সৈয়দ খালেদ আহমেদের নৈপুণ্যে দারুণ অভিভূত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ গতি দানব হিসেবেও ইতিমধ্যে খালেদকে দেখতে শুরু করেছেন দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।

তাই শনিবার (১০ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট শুরুর আগের দিন দলের অনুশীলনে কোচ চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন খালেদকে। কথা ছিল, লাইন লেন্থ ঠিক রেখে এক জায়গায় বল করার চ্যালেঞ্জ জিতলে খালেদ পাবেন পুরস্কার আর না পারলে কোচকেই দিতে হবে উলটো উপহার। সে চ্যালেঞ্জে জিতেছেন খালেদই।

খালেদ সেই চ্যালেঞ্জ জেতার সাথে সাথে স্টিভ রোডস মানিব্যাগ থেকে চকচকে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দেন খালেদের হাতে। টাকার অঙ্ক হয়ত সামান্য কিন্তু তা হাতে নিয়েই যেন রাজ্য জিতে যাওয়ার খুশি এই পেসারের।

এদিকে মজার ছলে নোটটি বারবার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন দলের অন্যতম বোলার  মোস্তাফিজুর রহমানকে। খালেদের ভাবটা এমন, ‘দেখো আমি পেয়েছি, তুমি কিন্তু পেলে না।’

অনুশীলন শেষে খালেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘কোচ আমাকে একটা জায়গায় বল করতে বলেছিলেন। বলেছিলেন যেন নো বল না হয়। আমি সফলভাবে সেটা করতে পারায় ৫০০ টাকা দিয়েছেন। না পারলে আমাকেই দিতে হতো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে এসেই দলে একজন লম্বা ও জোরে বল করতে পারা পেসার খুঁজছিলেন রোডস। উচ্চতা আর গতি দুটোর মিশে খালেদকে বেশ মনে ধরেছে ইংলিশ কোচের।

সিলেট টেস্টের আগে সে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন এভাবে, ‘খালেদকে নিয়ে আমি খুব মুগ্ধ, বিশেষ করে সে টেস্ট প্রস্তুতিতে যোগ দেওয়ার পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্রই সে ১০ উইকেট নিয়ে এসেছে। সেটা হয়েছে অনেকটা ফ্লাট উইকেটে। তার উচ্চতা আছে, উইকেটে জোরে বল আঘাত করতে পারে। সে অবশ্যই এমন এক বোলার যে প্রায় সব কন্ডিশনেই বল করতে পারে।’

দীর্ঘকায় পেসার খালেদ এবারই প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পান। নিজের ঘরের মাঠ সিলেটে অভিষেক না হলেও মিরপুরের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে জোর বিবেচনায় আছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত