স্পোর্টস ডেস্ক

১২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৯

মুশফিকের ইতিহাসে চালকের আসনে বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিমের ইতিহাস গড়া রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরিতে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ সুবিধাজনক স্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ।

চা বিরতির পর ৭ উইকেটে ৫২২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে ২৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে একটি উইকেট। এখনও তারা পিছিয়ে ৪৯৭ রানে।

টেস্টে গত আট ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে ছিলো রানের খরা। অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেই রানের স্রোত। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় দুই দিন রাজত্ব করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।

প্রথম দিনে অর্ধেকের বেশি আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মুমিনুল হক। সেঞ্চুরি করেও মুশফিক পড়ে গিয়েছিলেন আড়ালে। এদিন মুশফিকের আলোতেই বাকি সব ম্লান। ম্যারাথন ইনিংসে গড়েছেন গেঁথেছেন রেকর্ডের মালা।

জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিং দিয়ে শেষ বেলায় আগুন ঝরিয়েছেন অভিষিক্ত খালেদ আহমেদ। দারুণ সব বাউন্সারে কাবু করেছেন সফরকারীদের। পেতে পারতেন উইকেটও। তার বলে তৃতীয় স্লিপের দিকে গিয়েছিল হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সহজ ক্যাচ। সেখানে দাঁড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন প্রস্তুতও ছিলেন। কিন্তু কি বুঝে দ্বিতীয় স্লিপ থেকে লাফ দেন আরিফুল হক, নিজেও ধরতে পারেননি, মিঠুনকেও ধরতে দেননি। পরে সেই মাসাকাদজার উইকেট অবশ্য নিয়েছেন তাইজুল।

এর আগের ইতিহাস অবশ্য মুশফিকময়। প্রথম দিন মুমিনুল ডাবল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ১৬১ রানে ফিরেছেন। তবে মুশফিক ছিলেন নিজের লক্ষ্যে অবিচল। ২০১৩ সালের পর দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির। ইতিহাস গড়া এই ইনিংসে রেকর্ড বুকেও নাম লেখালেন সবার আগে। যার এই বছরে টেস্টে কোনও সেঞ্চুরি ছিলো না সেই ব্যক্তিটিই গড়লেন বছরের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি।

শুধু কি তাই? রেকর্ডের পসরা সাজিয়েছেন একের পর এক। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন মুশফিক। একই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবেও দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি।

ইতিহাস গড়ার দিনে আরও একটি রেকর্ড যুক্ত হয়েছে ইনিংস ঘোষণার আগে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা এখন মুশফিকের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রান ছিলো সাকিব আল হাসানের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের ২১৯ রান এখন সর্বোচ্চ।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ধীরে স্থিরে ব্যাট চালালেও দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ফিরলে মুশফিক ও মিরাজের জুটিই গড়ে দেয় বাকি পুঁজি। দ্বিতীয় সেশন পর তৃতীয় সেশনেও ছিলো এই আগ্রাসন। তারপর নিরাপদ দূরত্বে থেকে এই সেশনের শুরুতে ইনিংস ঘোষণা করেন মাহমুদউল্লাহ।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৭১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সফল বোলার কাইল জার্ভিস। একটি করে নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত