স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩৮

সিলেটের পর ঢাকায়ও হুল ফোঁটচ্ছেন তাইজুল

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের শোচনীয় হার হলেও তাইজুল ছিলেন ব্যতিক্রম। দুই ইনিংস মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের ১১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এই বাঁ হাতি বোলার যে জিম্বাবুয়ের জন্য বড় এক জুজু, সেটি প্রমাণিত হলো ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও।

বাংলাদেশের ৫২২ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের মধ্য সেশনেই যে জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট নেই, তার পূর্ণ কৃতিত্ব নাটোরের এই স্পিনারেরই। ৫১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে বেশ বিপাকেই ফেলে দিয়েছেন তিনি। অপর উইকেটটি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই স্পিনারের কল্যাণে এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫২।

সোমবার শেষ বিকেলেই তিনি তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উইকেট। তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। তাঁর বলেই ডেনাল্ড তিরিপানো ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মজার ব্যাপার, কাল বিকেলেও মাসাকাদজা ক্যাচ দিয়েছিলেন মিরাজকে। জিম্বাবুয়ের জন্য বড় ধাক্কা হয় ব্রায়ান চারির উইকেট হারানো। ৫৩ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মুমিনুলকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিরাজের বলটি চারির গ্লাভস ছুঁয়ে শর্ট লেগে গিয়েছিল মুমিনুলের তালুতে। তবে আম্পায়ার ওই মুহূর্তে আউট ঘোষণা করেননি তাঁকে। রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। আল্ট্রাএজে দেখা যায়, বল ছুঁয়ে গেছে চারির গ্লাভস।

ভালো খেলছিলেন চারি। ভয়ভীতি দূরে ঠেলে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দারুণভাবে চড়াও হয়েছিলেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কপালে চিন্তার ভাঁজও ফেলেছিলেন । তবে চারির উইকেটটি তুলে নেওয়ার পর জিম্বাবুয়েকে রীতিমতো বিপাকেই ফেলে দিয়েছেন তাইজুল শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার ২ উইকেট তুলে নিয়ে। দুইজনকেই বোল্ড করেন তাইজুল।

এই মুহূর্তে জিম্বাবুয়ের ভরসা হয়ে আছেন ব্রেন্ডন টেলর। তিনি ৮৩ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন পিটার মুর। তিনি সদ্যই রানের খাতা খুলেছেন।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৪ বোলার ব্যবহার করেছে—মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এর মধ্যে খালেদের বোলিং কিন্তু দারুণ নজর কেড়েছে। গতি, বাউন্সের সংমিশ্রণে সিলেটের এই তরুণ পেসার কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়েছেন এরই মধ্যে। দুর্ভাগ্যক্রমে প্রথম টেস্ট উইকেটটি এখনো পাননি। সোমবার বিকেলে তাঁর দারুণ এক বলে মাসাকাদজার ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে গিয়েছিল দ্বিতীয় স্লিপে। কিন্তু সেখানে ক্যাচ ফেলে দেন আরিফুল হক। খালেদ ১২ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ২৩ রান। মোস্তাফিজ ১৫ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়েছেন। মিরাজ একটি উইকেট নিয়েছেন ২৬ রান দিয়ে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত