ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ১৪:৩৬

বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা, জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ৪৪৩

ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। সিলেট টেস্টের পরে ঢাকা টেস্টেও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। ভরসা দিতে পারেননি আগের ইনিংসে দারুণ খেলা মুমিনুল-মুশফিক। শুরুর ২৫ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে মিঠুন ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন। তবে মাহমুদুল্লাহ দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় লিড ৪৪৩ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। কাইল জারভিসের বলে ব্রেন্ডন মাভুতার হাতে ধরা পড়ার আগে ইমরুল করেন মাত্র ৩ রান। দলীয় ৯ রানের মাথায় বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। এক বল পরেই জারভিস বোল্ড করেন লিটন দাসকে (৬)। পরের ওভারে বিদায় নেন গত ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে উইকেটের পেছনে রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন মুমিনুল (১)। দলীয় ১০ রানে বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। দলীয় ২৪ রানের মাথায় বিদায় নেন গত ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। তিরিপানোর বলে মাভুতার তালুবন্দি হওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।

এরপর জুটি গড়েন অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। সেশন শেষে চার উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের লিড বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৬ রান। দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতির পর বিগ হিট খেলতে শুরু করে টাইগাররা। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় বিগ শট খেলতে গিয়ে সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন। বিদায়ের আগে ১১০ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় মিঠুন করেন ৬৭ রান। দ্রুত বিদায় নেন আরিফুল হক (৫)।

উইকেটে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১২২ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় দলপতি করেন ১০১ রান। মেহেদি মিরাজ (২৭) অপরাজিত থাকেন। দুজন মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ৫৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। তাতে, জিম্বাবুয়ের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৪৩ রান।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৪২১ বলে ১৮টি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২১৯ রান। মুমিনুল হক ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকান। ২৪৭ বলে ১৯টি বাউন্ডারিতে করেন ১৬১ রান। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ২৬৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। আর মেহেদি হাসান মিরাজ ১০২ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক-মিরাজ মিলে ১৪৪ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৬০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৫২২ রান। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৫.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ে ৩০৪ রান তোলে। ব্রেন্ডন টেইলর ১৯৪ বলে ১০টি চারের সাহায্যে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১১০ রান। ওপেনার ব্রায়ান চারি ৫৩ আর হ্যামিলটন মাসাকাদজা ১৪ রান করেন। ১১৪ বলে ১২টি চার আর একটি ছক্কায় ৮৩ রান করেন পিটার মুর। তাইজুল সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলে নেন আরও ৫টি উইকেট। মিরাজ পান তিনটি উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত