স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৭

শেষ দিনে টাইগারদের জয়ের জন্য চাই আট উইকেট

৪৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসটা বেশ সতর্কভাবেই শুরু করে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। তবে দিনের শেষের দিকে স্বাগতিক বোলারদের ধাক্কায় কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে তাদের আত্মবিশ্বাস। দিনের শেষ ভাগে দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। বুধবার (১৪ নভেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যচের চতুর্থ দিন শেষে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬ রান করে, উইকেট হারিয়েছে দুটি। তারপরও ৩৬৭ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল।

ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫২২ রান করে। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করে ৩০৪ রান। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে প্রতিপক্ষের সামনে চার শতাধিক রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।

অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ৯ রানে ইমরুল কায়েস (৩) সাজঘরে ফেরেন। এরপর লিটন দাস (৬), মুমিনুল হক (১) ও মুশফিকুর রহিম (৭) দ্রুত আউট হলে শুরুতেই কিছুটা বিপদে পড়ে তারা।

এরপরই হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গে নেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। অভিষিক্ত মিঠুন ৬৭ রান করে আউট হলেও চমৎকার একটি সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১২২ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজও ৩৪ বলে ২৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন।

এর আগে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে, যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।

মুশফিক ও মুমিনুল মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁরা।

জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে গড়েছে ৩০৪ রান। তারা ১০৫.৩ ওভার খরচ করেছে। চোটের কারণে চাতারা ব্যাট করতে নামতে না পারায় ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় অতিথি দলটি। তাই প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের এই ইনিংস গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর। তাঁর চমৎকার শতকেই (১১০) গড়া সম্ভব হয় তিন শতাধিক রান। এ ছাড়া পিটার মোর ৮৩ ও ব্রায়ান চারি ৫৩ দুটি চমৎকার ইনিংস খেলেন।

স্পিনার তাইজুল ১০৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে বেশ চেপে ধরেছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তিন উইকেট তুলে নিয়ে শেষ বিকেলে কিছুটা চেপে ধরেন। আর একটি উইকেট পান আরিফুল হক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত