স্পোর্টস ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০১৮ ১৫:২৮

মমিনুলের সেঞ্চুরি

দুই সেশন দারুণ কাটাল বাংলাদেশ, যাতে সবচেয়ে বড় অবদান মমিনুল হকের। কিন্তু চা বিরতির পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের আঘাত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় সেশনে নিজের প্রথম তিন ওভারে এই ডানহাতি পেসার চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ৬৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৩ রান বাংলাদেশের।

প্রথম দুই সেশনে মাত্র ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, করে ২১৬ রান। ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় সেশন শুরু করেন মমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই গ্যাব্রিয়েলের শিকার হন তিনি ১২০ রান করে। ১৬৭ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল তার চমৎকার ইনিংস। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৯ রানের। ওই ওভারেই মুশফিকুর রহিম এলবিডাব্লিউ হন মাত্র ৪ রান করে। গ্যাব্রিয়েল তার পরের ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেন ৩ রানে। এরপর সাকিবকে ৩৪ রানে বোল্ড করেছেন তিনি। মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে চার ব্যাটসম্যান ফিরেছেন সাজঘরে।

বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নেমে রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন সৌম্য। তারপরই ইমরুলের সঙ্গে একশ ছাড়ানো জুটিতে দলে স্বস্তি ফেরান মমিনুল।

ইমরুলের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পথে ৬৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মমিনুল। ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম সেশন শেষ করা এই ব্যাটসম্যান ১৩৫ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে সেটাকে সেঞ্চুরি বানান।

এর আগে প্রথম সেশনের শুরু ও শেষে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য শুরুতেই মাঠছাড়া হওয়ার পর ইমরুল সতর্ক ব্যাটিং করেন মমিনুলের সঙ্গে। কিন্তু লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৮৭ বলে ৪৪ রান করে শর্ট লেগে সুনীল আমব্রিসের সহজ ক্যাচ হন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান জোমেল ওয়ারিকান। তার আগে ১২তম ওভারে ওয়ারিকানের বলে ১৬ রানে ইমরুল জীবন পান ওভারস্টেপিংয়ে নো বলের কারণে।

দ্বিতীয় সেশনে মোহাম্মদ মিঠুন নামেন মমিনুলকে সঙ্গ দিতে। এই জুটি পঞ্চাশ ছুঁতে পারেনি। ৫০ বলে ২০ রান করে ডাউরিচের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন। দেবেন্দ্র বিশু ভাঙেন ৪৮ রানের জুটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত