সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:১০

ইনিংস ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের

বাংলাদেশের ৫০৮ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৭ রান পিছিয়ে থেকে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফলোঅনে পড়ে আবারো ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, টাইগার স্পিনারদের দাপটে ২১৩ রানে আরেকবার গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। স্বাগতিক বাংলাদেশ জয় তুলে নেয় ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে, সিরিজ জেতে ২-০ ব্যবধানে।

এই প্রথম কোনো প্রতিপক্ষকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো টাইগাররা। ২০০৯ সালের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে আবারো ওয়েস্ট ইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। সেবার করেছিল ক্যারিবীয়ান মাটিতে, এবার নিজেদের মাটিতে।

এছাড়া বাংলাদেশ ২০১৪ সালের পর টেস্টে সিরিজ জয় করলো। এদিকে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো গেলেও সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি কখনো সাকিবরা। এমনকি ক'দিন আগে জিম্বাবুয়েও অপেক্ষা বাড়ায় বাংলাদেশের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের পর টেস্টে আবারো তাদের হোয়াইটওয়াশ করল সাকিব-মিরাজরা।

প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রানের পাহাড় গড়ার পর সেই পাহাড়ে চাপা দিতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল বোলারদের জ্বলে ওঠা। স্পিনিং উইকেট। সেখানে বাংলাদেশের চার স্পিনার এক সঙ্গে জ্বলে উঠবেন সেটাই ছিল প্রত্যাশা। যেমনটা হয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে চারজনের সবাইকে প্রয়োজন হয়নি। একা সাকিব-মিরাজই ধস নামিয়ে দিলেন। ১১১ রানে অলআউট করে দিলেন ক্যারিবীয়দের। মিরাজ একাই নিলেন ৭ উইকেট। বাকি ৩টি সাকিবের।

৩৯৭ রানের বিশাল লিড। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দলকে ফলোঅন করাল বাংলাদেশ। ৩৯৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। শুরু থেকেই সাকিব মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা। এই ইনিংসে একা সাকিব আর মিরাজ সফরকারীদের ওপর হামলে পড়েননি। তাইজুল এবং নাঈমও যোগ দিয়েছেন।

তবুও কাজের কাজটি করে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ইনিংসেও তিনি নিলেন ৫ উইকেট। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়েছেন। বাংলাদেশের জয়ের মূল ভিতটাই রচনা করে দিয়েছেন তিনি। তার ঘূর্ণি ফাঁদে জড়িয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন ক্যারিবীয়রা। দুই ইনিংস মিলে মিরাজ উইকেট নিলেন ১২টি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হলো ২১৩ রানে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত