স্পোর্টস ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৩২

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের পাশে ইউনিসেফ

ফুটবলের মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষমতায়ন জোরদার করতে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে দুই বছর মেয়াদি একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।

সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করতে ইউনিসেফের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই চুক্তি করা হয়েছে। এই অংশীদারিত্বের আওয়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের সব জাতীয়  ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও অনুশীলন জার্সিতে ইউনিসেফের লোগো ব্যবহার করা হবে।

এছাড়াও বার্ষিক ভিত্তিতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় জাতীয় প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে ফুটবল খেলায় মেয়েদের উৎসাহিত করতে বাফুফের সঙ্গে নিবীড়ভাবে কাজ করবে ইউনিসেফ। অংশীদারিত্বের শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের বিশেষ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইউনিসেফকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাফুফের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাহউদ্দিন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেগবেদার বলেন, ‘এই উদ্যোগ দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লুকায়িত প্রতিভা তুলে আনার মাধ্যমে খেলাধুলার জগতে ইউনিসেফের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।যেহেতু বাইরের ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের টানে, তাই খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের কাছে পৌঁছানো ছিল ইউনিসেফের জন্য একটি সুস্পষ্ট পদক্ষেপ এবং সাধারণভাবে শিশুদের বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের ক্ষমতায়নে ফুটবলের মতো খেলা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরো বলেন,‘বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা এখন মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও শৃঙ্খল মুক্তির আদর্শস্বরূপ এবং তারা দেশের অন্য মেয়েদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং করছে। খেলাধুলা সাম্য ও সকলের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টিকে তুলে ধরে এবং সমাজের বদ্ধমূল ধারনা ও নেতিবাচক রীতিনীতি ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব ধারনা ও রীতিনীতি বাল্য বিয়ে, শিশু পাচার ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাসহ মেয়েদের বিরুদ্ধে বৈষম্য তৈরি করে।’

ইউনিসেফ প্রতিটি শিশুর অধিকার এবং সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিসেফের অংশীদারদের সাথে ১৯০টি দেশ ও অঞ্চলে এই অঙ্গীকারকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সর্বত্র সকল শিশুর কল্যাণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও বঞ্চিত শিশুদের কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা কেন্দ্রিক এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইউনিসেফ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত