ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫১

টপ অর্ডার নিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ কোচ

চোট কাটিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। কিন্তু এই দুজনের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডের টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস আর সৌম্য সরকার। সেরা তারকারা ফেরায় তাই একাদশ গড়তে মধুর সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রধান কোচ স্টিভ রোডস তো বুঝতেই পারছেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমন হবে একাদশ।

এশিয়া কাপের আগে ওপেনিং নিয়ে ভালোই সমস্যা ছিল বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের ফাইনালের ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে সমাধানের পথ দেখান লিটন দাস। এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তামিম না থাকার সুযোগে লিটনের সঙ্গী হয়ে বাজিমাত করেন ইমরুল।

তিন ম্যাচের সিরিজে দুই সেঞ্চুরি আরেকটি প্রায় সেঞ্চুরি করে করেন রেকর্ড ৩৪৯ রান। ওই সিরিজে দুই ম্যাচে রান না পেলেও এক ম্যাচে লিটনের ব্যাট থেকে আসে দৃষ্টিনন্দন ৮৩ রানের ইনিংস।

শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকার তিনে নেমে করে ফেলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। এরপর থেকেই প্রশ্ন, কে হবেন তামিমের সঙ্গী? তিনে খেলবেন কে? সাকিব আগের মতো তিনে খেলতে চাইলে তো বাদ যেতে হবে অন্তত দুজনকে। সেই দুজন কারা?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগে তিনে নেমে আরেকটি সেঞ্চুরি করে লড়াই আরও জমিয়ে দেন সৌম্য। তিনজনের এমন ছন্দে থাকায় সাকিবকে পাঁচে নামানোর কথাও ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তাতেও তো মিটছে না সমস্যা। প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এই মধুর সমস্যার কথা জানান কোচ স্টিভ রোডস,  ‘বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত (ওপেনার বেছে নেওয়া), এতে প্রমাণ হয় কি দারুণ জায়গায় আমরা আছি। আমরা চাইছিলাম দলের গভীরতা বাড়াতে, এখন সেটা কিছুটা বেড়েছে। ইমরুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছে। তামিম ফিরে এসেই সেরা ছন্দ দেখিয়েছে। লিটন ৮০ রানের উপর খেলেছে, এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো মঞ্চে সেঞ্চুরি করেছে। তিনে নেমে সৌম্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করল, প্রস্তুতি ম্যাচে করল আরেকটা। চূড়ান্ত একাদশ কি হবে আমি এখনো বুঝতে পারছি না।’

এমন সমস্যায় পড়ে ভীষণ খুশি প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন। আপাতত হাতে অনেক বিকল্প থাকার স্বস্তি তার, ‘দলে জায়গার জন্য এই যে তীব্র লড়াই এটা আমাদের দলের জন্য খুব ভালো। বোঝা যাচ্ছে ব্যাকআপ ক্রিকেটাররাও যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে। সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকলে দল সবসময় ভালো অবস্থানে থাকে। অবশ্যই আমি মনে করি যে, দলে এই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। আর যখন যাকে দরকার হবে তখন তাকে খেলানো হবে।’

তবে যারা খেলবেন সেই ক্রিকেটাররা কেমন চাপ অনুভব করছেন? দলে নিজের জায়গা অনিশ্চিত হয়ে গেলেও এই লড়াইয়ে দিনশেষে লাভ দেখছেন লিটন, ‘এখন যেহেতু দলে টপ অর্ডার নিয়ে লড়াই চলছে, আমাদের জন্য এটি অবশ্যই ভালো। চ্যালেঞ্জিংও বলতে পারেন। দলে এখন তিন-চারজন ওপেনার, তারা নিয়মিত পারফর্ম করছে। দেখতেও ভালো লাগে। নিজের ভেতর চ্যালেঞ্জ থাকে যে ভালো করতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত