স্পোর্টস ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:২৯

আজই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ

টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ভয় ছিল ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে। প্রতিশোধের নেশায় চড়ে মারকুটে ব্যাটিংয়ে পেশীশক্তির দাপট দেখিয়ে না ভড়কে দেয় বাংলাদেশকে! সংশয় কেটে গেছে মাঠে নামতেই। রঙিন পোশাকেও তাদের জ্বলে উঠতে দেয়নি বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর এবার সিরিজটাও নিশ্চিত করে ফেলতে চাইছে টিম টাইগার্স।

আজ মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। তৃতীয় ওয়ানডে শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। শেষ ম্যাচের জন্য অপেক্ষা না করে মিরপুরেই সিরিজ নিজেদের করে নিতে চায় বাংলাদেশ।

প্রত্যাশিত সাফল্য এলে টানা তিনটি সিরিজ জেতার গৌরবে নাম লেখাবে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে টানা চারটি সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। সেটিই সেরা সাফল্য। চলতি বছর তিনটি সিরিজই পেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে উইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ জিতে নেয় টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠেও তাদের হারাতে মরিয়া স্বাগতিকরা। গত মাসে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে লাল-সবুজের দল।

রোববার রাতে প্রথম ওয়ানডে শেষ করা বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের অনুশীলন ছিল না। ঐচ্ছিক অনুশীলনে চলে আসেন বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটার আর কোচিংস্টাফদের সবাই।

দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি বললেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের জেতাটা জরুরী। জয় অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আগামীকাল জিতে যাই, সবকিছুই ঠিকঠাক মতোই হবে। ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে উন্নতির বিষয়ে আপনার প্রশ্নটা ঠিক আছে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং যেটাই হোক, যখন আমরা জিততে চাইব তখন এ তিনটির দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।’

‘সংস্করণ যত ছোট ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত ভয়ঙ্কর’ প্রতিপক্ষ নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মূল্যায়ন এটি। বাংলাদেশ অধিনায়কের এমন মন্তব্য ক্যারিবীয়দের ক্রিকেটীয় সামর্থ্যের কারণেই। যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে তারা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে যে ভয় ছিল তা কেটে গেছে অনেকটাই। ৫ উইকেটের সহজ জয়ে।

যদিও যোশি আগের রাতে পাওয়া জয়টিকে সহজ বলতে নারাজ, ‘আমার মনে হয় এটা বেশ কঠিন লড়াইয়ের জয় ছিল। কারণ, বোলাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে ভাঙন ধরিয়ে সত্যিই বেশ ভালো করেছিল এবং ১৯০-এর মধ্যে(১৯৫) আটকে রেখেছিল। বোলিং বিভাগের দিকে যদি দেখেন, সেটা স্পিনাররা কিংবা পেসাররা হতে পারে- সবাই খুব ভালো বোলিং করেছিল। বোলিং বিভাগের অধিকাংশ বোলারই ৩০ রানের বেশি দেয়নি। তাই এটাকে খুব ভালো বোলিং অবদান বলব আর আমরাও প্রায় ১৫ ওভার খরচা না করেই জিতেছি ৫ উইকেটে। এটাকে ভালো একটি প্রত্যয়ী জয়ই বলব।’

উইন্ডিজের দেয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ টপকায় ৫ উইকেট হারিয়ে, ৮৯ বল হাতে রেখে। মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৫৫, লিটন দাসের ৪১, সাকিব আল হাসানের ৩০ রানের ইনিংসে সফরকারীদের করা দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ টপকাতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের।

আজ বাংলাদেশ জয় পেলে সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আরেকটি গৌরবে নাম লেখাবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের মাঠে ও নিজেদের মাঠে পরপর দুটি সিরিজ জয়ের কীর্তি নেই টাইগারদের। এবছর তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। অল্পের জন্য জেতা হয়নি শিরোপা, রানার্সআপ হয় মাশরাফীর দল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত