ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:০২

হাসলো ওয়ার্নার-আফিফ-পুরানের ব্যাট, জয় দেখলো সিলেট

ডেভিড ওয়ার্নার, আফিফ হোসেন ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পর চিটাগং ভাইকিংসকে ৫ রানে হারালো সিলেট।

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে হার দিয়ে মিশন শুরু করে সিলেট। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে চিটাগং ভাইকিংস। তাই প্রথম জয়ের খোঁজে আত্মবিশ্বাসী চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাঠে নামে সিলেট সিক্সার্স।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট সিক্সার্স। মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারায় সিলেট। আউট হন লিটন দাস, নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান। তবে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

১৬৯ রানে লক্ষ নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং অবশ্য ভালো শুরু করে। দলের ৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ শাহজাদকে হারায় তারা। এরপর আশরাফুর এবং দেলপোর্ত রান নিয়ে যান ৬৩ তে। সেখান থেকেই শুরু হয় চিটাগংয়ের ধস। একে একে ফিরে যান দেলপোর্ত, আশরাফুল, মুশফিক এবং মোসাদ্দেক। আর ম্যাচ বের করার স্বপ্ন তারা দেখাতে পারেনি। কিন্তু শেষটায় ফ্রাইলিংক তোলেন ছোটখাটো একটা ঝড়।

চিটাগংয়ের হয়ে দেলপোর্ত করেন ২২ বলে ৩৮ রান। আশারফুল ২৩ বলে করেন ২২ রান। সিকান্দার রাজা করেন ২৮ বেল ৩৭ রান। এছাড়া ফাইলিংক ২৪ বলে ৪৪ রান করেন।

শেষটায় একটু ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন চিটাগংয়ের ফ্রাইলিংক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ম্যাচটা বের করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে চিটাগাং সংগ্রহ করে ১৬৩ রান। আর সিলেট ম্যাচ জিতে ৫ রানে।

সিলেটের হয়ে তাসকিন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট পান। অলক কাপালি ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের ওপেনার লিটন দাস ও চার নম্বরে নামা সাব্বির রহমানকে কোন রান করার সুযোগ না দিয়েই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন রবি ফ্রাইলিংক। আর নাসির হোসেনকে (৩) মোসাদ্দেক হোসেনের তালুবন্দি করেন নাঈম হাসান।

এরপর ওয়ার্নারের নেতৃত্ব অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। আফিফ হোসেনকে সাথে নিয়ে সিলেট অধিনায়ক ৭১ রানের জুটি গড়েন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন আফিফ। খালেদ আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৪৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন তিনি। মেরেছেন ৩টি ছক্কা ও ৫টি চার।

এরপর নিকোলাস পুরানকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন ওয়ার্নার। এই জুটিতে আসে ৭০ রান। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে ওয়ার্নার আউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। সিলেটের অধিনায়কের ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও দুইটি চারের মার।

এদিকে পুরান ৩২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি মেরেছেন ৩টি করে ছক্কা ও চার। অন্যপ্রান্তে অলক কাপালী ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

চট্টগ্রামের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফ্রাইলিংক। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত