স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২০:৩১

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তোলায় ক্লাবই নিষিদ্ধ!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েসন আয়োজিত টুর্নামেন্টের শেষ আটের একটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তোলায় সৈয়দপুর ইয়াংম্যান ক্লাবকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অভিযোগের কোনোরূপ তদন্ত ছাড়াই ক্লাবকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লাবের পাঁচ খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি বয়কট করা হয়েছে ইয়াংম্যান ক্লাবের মাঠও। আত্মপক্ষ সমর্থন কিংবা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে ইয়াংম্যান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত শেষ আটের খেলায় শেষ ম্যাচে এসোসিয়েশনের সভাপতি সুলেমান হোসেনের মালিকানাধীন প্রজন্ম ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয় শেষ চার নিশ্চিত করা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইদুল হকের মালিকানাধীন মাগুরা ক্রিকেট ক্লাব। আর শেষ চারে যেতে হলে প্রজন্ম ক্রিকেট ক্লাবের জয়ের বিকল্প নেই। অপরদিকে একই গ্রুপের অন্য দল ইয়াংম্যান ক্রিকেট ক্লাব এক জয় ও এক হার নিয়ে পরবর্তী ম্যাচের রেজাল্টের অপেক্ষায় থাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক প্রজন্ম ক্রিকেট ক্লাবের কাছে মাগুরা ক্রিকেট ক্লাব পরাজয় মেনে নেয়। এতে উপস্থিত দর্শক ও ইয়াংম্যান ক্লাবের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদ করেন।

এছাড়া খেলোয়ার ও কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষ কাছে অভিযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যাচের নামা মুহূর্ত তুলে ধরে সমালোচনা করেন। এসব মুহূর্তেই ভাইরাল হয় আর দর্শকরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ ও এসোসিয়েশনের সমালোচনা করতে থাকেন।

এর প্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঘটনার তদন্ত না করে উল্টো ইয়াংম্যান ক্লাব ও খেলোয়াড়দের নানা মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে ইয়াংম্যান ক্রিকেট ক্লাব পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

খেলোয়াড়দের মধ্যে, মো. রাসেল, সৈয়দ রাসেল ও সৈয়দ আলামিনকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং মো. রিপন ও মো . দিলোয়ার আহমদ কে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও ম্যাচের নানা অসঙ্গতির বিষয় নিয়ে সমালোচনা করায় সেঞ্চুরি ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার মো. তুফায়েল আহমদকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযোগের তদন্ত না করে এমন শাস্তিতেও মন ভরেনি এসোসিয়েশনের কর্তাব্যক্তিদের বরং ইয়াংম্যান ক্রিকেট ক্লাবের মাঠকেই বয়কট করার মতো উদ্ধট শাস্তিও দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে এসোসিয়েশনের কোনো খেলোয়াড় কিংবা ইয়াংম্যান ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে না খেলার জন্যও সর্তক করে দেয়া হয়েছে। যদি কেউ মাঠে কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে খেলে তাহলে তাদের জন্যও শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

এদিকে ইয়াংম্যান ক্লাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি ভিত্তিহীন অভিযোগে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের শাস্তি প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত