ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৩৮

সিলেটের ঝুলিতে আরও এক হার, রংপুরের রেকর্ড জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ট আসরে কাগজে কলমে সিলেট সিক্সার্স বেশ শক্তিশালী দল হলেও মাঠে দেখা মিলছে না সেই দলের প্রতিচ্ছবি। যারা এবারের বিপিএলে সাত ম্যাচ খেলে হেরেছে পাঁচটিতেই। জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ।

সবশেষ আজ শনিবার সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম খেলায় সিলেট সিক্সার্স গত বছরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের কাছে হারে ৪ উইকেটে।

এদিকে রংপুরের এ জয়ের মধ্যে দিয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে তারা। এর আগে এ রেকর্ডের মালিক ছিল সিলেট। ২০১৩ সালে এই রংপুরের বিপক্ষেই ১৯৮ রান তাড়া করে জিতেছিল সিলেট। তখন অবশ্য সিলেট রয়্যালস নামে বিপিএলে খেলত তারা।

এদিন ম্যাচ শুরুর আগে টস জিতে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ইনিংসের শুরু থেকেই মারমুখো ভঙ্গিতে ব্যাটিং করতে থাকে সিলেট। শেষ পর্যন্ত সাব্বির আহমদ ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটে চড়ে সিলেট সংগ্রহ করে ১৯৪ রানের বড় একটি পুঁজি।

পরে ১৯৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সও শুরু থেকেই চড়াও হয় সিলেটের বোলারদের ওপর। বিদেশ থেকে উড়িয়ে আনা রিলে রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও এল্যাক্স হ্যালসের মারকুটে ব্যাটিংয়ে রংপুর তিন বল হাতে রেখেই চার উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

১৯৪ রানের জবাবে কোন রান না তুলে শুরুতেই ফিরে যান গেইল। সেখান থেকে রুশো-হেলসের ৬৩ রানের জুটি। ব্যর্থ হওয়া হেলস এ ম্যাচে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন। এরপর রুশো-ভিলিয়ার্স মিলে জুটি গড়েন ৬৭ রানের। দারুণ ফর্মে থাকা রুশো এ ম্যাচে ৩৫ বলে ৬১ করে ফেরেন। এরপর ভিলিয়ার্স দারুণ কিছুর ইঙ্গিত করেও ২১ বলে ৩৪ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হন। শেষটায় ফরহাদ রেজার ৬ বলে ১৮ রান জয় এনে দেয় রংপুরের।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় সিলেট। শুরু থেকেই মারমুখি খেলতে থাকা লিটনকে (৮ বলে ১১) ফেরান রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি।

এরপর সাব্বিরের সাথে যোগ দেন আফিফ হোসেন। তিনিও প্রতিপক্ষের বোলারদের পিটিয়ে খেলতে থাকেন। একটি ছক্কা ও ৩টি চারে সাজিয়ে ১১ বলে ১৯ রান তুলে ফেলেন আফিফ। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

সিলেটের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের শেষ ম্যাচ এটি। কিন্তু ব্যাট হাতে হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ১৯ রানে।

এরপর সাব্বিরের সাথে যোগ দেন নিকোলাস পুরান। দুইজনের মারমুখি ব্যাটিংয় দ্রুত রান উঠতে থাকে সিলেটের স্কোরবোর্ডে। সাব্বির-পুরান জুটিতে আসে ৮২ রান। এরপরই আউট হয়ে যান সাব্বির।

ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে থামে সাব্বিরের তাণ্ডব। তার আগে ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে সাজিয়ে ৮৫ রান করেন তিনি। আর পুরাণ ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজিয়ে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

রংপুরের হয়ে ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। এছাড়া শফিউল ইসলাম নিয়েছেন এক উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত