স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৬:০৬

ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ, মিরাজের প্রত্যাশা

কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে এরইমধ্যে পিছিয়ে পড়েছে টাইগাররা। হাতে আছে আরও দুই ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিরূপ কন্ডিশনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?

প্রথম ওয়ানডেতে যেভাবে হেরেছে তাতে খানিক অনুমান করাই যায়, এই ম্যাচেও হয়তো তেমন কিছুই হবে। নেপিয়ারের কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের কন্ডিশন খুব বেশি অমিল না থাকলেও ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠতে পারেনি টাইগাররা।

নেপিয়ার পর্ব শেষে দ্বিতীয় ম্যাচের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ। এখানকার কন্ডিশন তো আর বাংলাদেশের সঙ্গে মিল নেই!

তবু মিরাজের প্রত্যাশা ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। মিরাজ আশা করেন, এই ম্যাচটা জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে টাইগাররা।

‘প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছি। বাকি আছে আরও দুটি ম্যাচ। এই দুই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিততে পারব। সিরিজ জয় যদিও বহুদূর, সে কারণেই কালকের ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে জিতলে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব।’

প্রথম ম্যাচে হারের জন্য ব্যাটসম্যান-বোলার উভয় পক্ষই দায়ী। মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া বড় স্কোর করতে পারেনি কেউ। বল হাতে কিউই পেসাররা যেখানে গতির ঝড় তুলে একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছিল সেখানে বাংলাদেশের বোলাররা হতাশ করেছিল।

ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মিরাজ বলছেন, এই কন্ডিশনে প্রথম ১০ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ১০ ওভারে  অল্প রান হলেও টিকে থাকাটা জরুরি। প্রথম ম্যাচে আমরা শুরুতে কিছুই করতে পারিনি উল্টো উইকেট দিয়ে এসেছি দ্রুত। দ্বিতীয় ম্যাচে যদি টপ অর্ডার থেকে ভালো রান আসে তাহলে আমাদের সুযোগ থাকবে ভালো করার।

দেশের মাটিতে পেসারদের থেকে স্পিনাররাই এগিয়ে থাকে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এসে সেই স্পিনারদের উপর নির্ভর থাকাটা নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই না। যেখানে পেসারদের ভালো করার কথা সেখানে পেসাররাও সাদামাটা।

‘দেশে স্পিনারদের ওপর নির্ভর করলেও বিদেশে দায়িত্বটা থাকে পেসারদের ওপর। কিন্তু এখানেও স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। সাকিব ভাই থাকলে ব্যাপারটা ভিন্ন হতো। আত্মবিশ্বাস বেশি পেতাম। আমার মনে হয়, এখানে স্পিনারদের যে ভূমিকা, তা শুধু পেসারদের সাহায্য করা। এখানে স্পিনাররা বেশি টার্ন পায় না। উইকেটের সহায়তা পায় না। শুধু চেষ্টা করা যায়, যতটা সম্ভব রান কম দেওয়ার। স্পিনাররা রান চেক দিয়ে বোলিং করলে পেসাররা উইকেট পেতে সহজ হয়ে যায়।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত