স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ মে, ২০১৯ ২২:৩১

তামিমের সাথে ১৭৩ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন সৌম্য

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ দুই ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরিতে ছন্দে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে সেটা ধরে রেখে ৭৩ রান করেছেন তিনি। বাউন্ডারির সীমানায় দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে ফেরান ড্যারেন ব্রাভো। ১৪৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে গেছেন সৌম্য। তার ফিফটি উদযাপনের পর তামিম ইকবালও পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছান ৭৮ বলে। ২৬২ রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনারের ব্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। ২৯ ওভারে ১ উইকেটে তারা করেছে ১৫৮ রান।

আবাহনীকে ২০তম লিগ শিরোপা জেতাতে ১০৬ ও অপরাজিত ২০৮ রান করেন সৌম্য। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মঙ্গলবার ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৪৭ বলে করেন অষ্টম ফিফটি। জেসন হোল্ডারকে বাউন্ডারি মেরে পঞ্চাশ ছোঁন এই বাঁহাতি ওপেনার। ৬৩ রানে তিনি জীবন পান শেন ডাউরিচের হাতে। কিন্তু তিন অঙ্কের ঘরে যেতে ব্যর্থ এই বাঁহাতি ওপেনার। রোস্টন চেসের বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়ানো ব্রাভো ভারসাম্য রক্ষা করে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন। তাতে থামে ৯ চার ও এক ছয়ে সাজানো সৌম্যর ৬৮ বলের ইনিংস।

সৌম্য কিছুটা আগ্রাসী থাকলেও তামিম ছিলেন রক্ষণাত্মক। প্রথম বাউন্ডারির দেখা তিনি পান দশম ওভারে। তারপর থেকে স্বরূপে খেলে গেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ক্রিজে তার সঙ্গী সাকিব আল হাসান।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে করে ২৬১ রান। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন হোপ (১০৯)। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে শতক পূর্ণ করা এই ব্যাটসম্যান আরেকবার জ্বলে উঠলে বড় সংগ্রহের ভিত পায় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে প্রত্যাশিত স্কোর তুলতে পারেনি তারা।

মাশরাফি মুর্তজা (৩/৪৯), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (২/৪৭), সাকিব আল হাসান (১/৩৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (১/৩৮) নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেট নিতে ৮৪ রান খরচ করা মোস্তাফিজুর রহমান বাদে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সব বোলারের প্রস্তুতিটা হয়েছে দারুণ।

ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার চেস করেছেন ৫১ রান। এছাড়া সুনিল অ্যামব্রিস ৩৮ ও অ্যাশলে নার্স করেন ১৯ রান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত