স্পোর্টস ডেস্ক

১২ জুন, ২০১৯ ১৫:০৪

যে কারণে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে রিজার্ভ ডে নেই

টানা দুটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ইংলিশদের এই কন্ডিশনে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সমালোচনা এখন সবখানে। অনেকেই বলছেন বৃষ্টি ভাবনায় কেন রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি লিগ পর্বে। অবশ্য নকআউট পর্বে তার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইসিসি।

সমালোচনা ধেয়ে আসায় আইসিসি বাধ্য হয়েই রিজার্ভ ডে না রাখার পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিবৃতিতে।

আইসিসির বিদায়ী প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিটি ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হলে বেড়ে যেত টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য, 'রিজার্ভ ডে রাখা হলে বিশ্বকাপের দৈর্ঘ্য লম্বা হয়ে যাবে। বাস্তব দৃষ্টিতে তা জটিল আকার ধারণ করতো।'

শুধু দৈর্ঘ্যই নয় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো মাত্রা ছাড়া হয়ে দাঁড়াত বলে দাবি তার। যেমন বাজেট সঙ্কুলান, থাকার ব্যবস্থা, ভ্রমণ ক্লান্তি সব কিছুই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারতো তেমনটি হলে, ‘এর ফলে পিচ তৈরিতে একটা প্রভাব পড়তো। দলগুলোর স্বস্তি, ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা ও ভেন্যু পাওয়া যাবে কিনা এসব কিছুই প্রভাব ফেলতো। এমনকি ব্রডকাস্টের জন্য যেসব সুবিধা আছে সেগুলো মাথায় রাখতে হয়েছে। দর্শকরা যারা এত সময় ধরে মাঠে থাকবে তাদের কথাও ভাবতে হবে। আর রিজার্ভ ডে তেও বৃষ্টি হবে না, এর কোন নিশ্চয়তা নেই।’

আরেকটিও বিষয়ও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন আইসিসির এই কর্তা, ‘ম্যাচকে ঘিরে কাজ করছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ স্টাফ। এদের সঙ্গে সব কিছুই যুক্ত এমনকি সম্প্রচারও। ফলে পুরো দেশজুড়ে যাত্রার ফলে রিজার্ভ ডে রাখতে গেলে স্টাফদের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। সব বিবেচনায় করেই নক আউট পর্বে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। কারণ গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ৪৫টি ম্যাচ খেলা হবে।’

যুক্তরাজ্যের বৃষ্টি নিয়ে তার কথা, ‘প্রকৃতির এই আচরণ কাম্য ছিলো না। কয়েক দিনে সাধারণ গড় বৃষ্টির তুলনায় বেশি বৃষ্টি দেখলাম আমরা। কিন্তু জুন সাধারণত সেখানকার তৃতীয় শুষ্ক মাসের একটি! অথচ গত বছর মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে জুনে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১০০ মিলিমিটার।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত