স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৯ ১১:৩৩

নতুন আশা নিয়ে টন্টনে বাংলাদেশ

ব্রিস্টলে বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে। এটা নিয়ে দলের মধ্যে আফসোসের শেষ নেই। সেই হতাশা সঙ্গী করেই ব্রিস্টল পর্ব শেষ করে বাংলাদেশ এখন টন্টনে।

১৭ জুন এই ভেন্যুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচের ফলাফল ভুলে যাওয়া লড়াইয়ে নামবে টাইগাররা।

ব্রিস্টল থেকে বেরিয়ে টিম বাসে ওঠার পথে সবাই হাসিখুশি ছিলেন। হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প ছিল সবার চোখেমুখে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ পয়েন্ট ও নিউজিল্যান্ডের হারের স্মৃতি ঘুরেফিরেই থাকলো আলোচনায়।

কম-বেশি সবাই হতাশ এই দুটি ম্যাচের ফলাফলে। অবশ্য সামনের ম্যাচে ভালো করার রসদও হয়তো জোগাড় হয়ে গেছে ব্রিস্টল থেকে টন্টনের ভ্রমণে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ব্রিস্টল থেকে টন্টনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে বাংলাদেশ দল পৌঁছেছে বিকেল ৪টার পর। প্রশ্ন আসতে পারে মাত্র এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টা লাগলো কিভাবে? আসলে ভ্রমণের সময়ে খেলোয়াড়দের মানসিক প্রশান্তির সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই ব্রিস্টল থেকে যাত্রা শুরুর পর বেশ কয়েকটি জায়গায় বিরতি দিয়েছিল টিম বাস।

পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে আসা ক্রিকেটাররা বিরতির সময়টা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াও করেছেন তারা। অনেকটা ‘পিকনিক মুডে’ ব্রিস্টল থেকে টন্টনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল।

এখানেও বিশ্রামে থাকবেন মাশরাফিরা। বুধবারের সঙ্গে বৃহস্পতিবারও অনুশীলন থাকছে না তাদের। তবে কেউ চাইলে একা অনুশীলন করতে পারবেন।

দুই দিন বিরতি দিয়ে ১৪ জুন সামারসেট কাউন্টি ক্রিকেট মাঠের কমিউনিটি ক্লিনিকে অনুশীলন শুরু করবে টাইগাররা।

মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতেই ক্রিকেটারদের ‘ছুটি’ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই অনেক ক্রিকেটার নিজেদের মতো সময় কাটিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ যেমন মঙ্গলবার রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাংলাদেশি ও ভারতীয় খাবারের প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্ট ‘চায়ে পানিতে’।

অন্য ক্রিকেটাররাও ছোট ছোট দল বেঁধে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সেরেছেন রাতের খাবার।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু টন্টনের মাঠ কিছুটা ছোট বলেই ভয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির, ‘মাঠটা একটু বেশিই ছোট। সেখানে ওরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) কেমন ঝড় তোলে, সেটাই চিন্তার বিষয়। তবে আমাদের লড়াই করার বিকল্প নেই।’

কথাটা শেষ করে মাশরাফি নিজেই আবার ইতিবাচক দিক খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করলেন, ‘অবশ্য বড় মাঠ, ছোট মাঠ যাই হোক, ওদের হিটিংয়ে বল এমনিতেই ছক্কা হবে। বরং আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই ছোট মাঠকে কাজে লাগাতে পারে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত