স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ জুলাই, ২০১৯ ১২:৫৬

শেষটা আলোয় রাঙানোর অপেক্ষা

শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর বাংলাদেশের স্বপ্ন ডালপালা মেলতে শুরু করে। চার বছর আগে ভালো খেলা ও পরের রাউন্ডে যাওয়া দলটা এবার সোনালী ট্রফি ছিনিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে পুরো জাতি। তবে এই সোনালী উষায় দেখা স্বপ্নটা বেশিক্ষণ টেকেনি।

বাস্তবতার জমিনে লড়াই করেছেন এক দল সেনানী। সোনালী ট্রফি ছিনিয়ে আনা যায়নি। এই কয়েক বছরে সক্ষমতার গণ্ডি বেড়েছে বহুগুণে। এবার হয়তো হলো না, ২০২৩ সালে ভারতে সোনালী ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হবে নিশ্চয়!

অবশেষে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সফর। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপকে বিদায় জানাবে মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। শুরুর মতো শেষটাও জয়ে রাঙানোর অপেক্ষা করছেন তারা। একই আশাতে বসে ১৭ কোটি বাঙালি। ক্রিকেটের মক্কায় আগামীর স্বপ্ন বুনবে বাংলাদেশ। একদিন এই লর্ডসেও পতপত করে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা, কোনো এক মাশরাফির হাতে থাকবে চিরচেনা বিশ্বকাপের সেই ট্রফি। সেই স্বপ্নের শুরুটা আজই করতে হবে সিনিয়র সাকিব-মাশরাফিদের।

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। অতীত ইতিহাস যাই বলুক না কেন বর্তমানটা কিন্তু বাংলাদেশের। গত তিন বছর পাকিস্তানকে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ। ভালো খেলার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ক্রিকেটর আঁতুড়ঘরেও পাকিস্তানিদের হারাবে বাংলাদেশ। 

ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিততে পারলে এই ম্যাচে আশা টিকে থাকতো টাইগারদের। তেমনটা না হওয়ায় আশাহত টাইগার কিকেটার-সমর্থকরা। তবে সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও সমর্থকদের মনোবল দারুণ উজ্জীবিত। শেষ ম্যাচটা জিতে টুর্নামেন্টে ভালো খেলার ছাপটা ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর তারা। ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে হওয়ায় জয়ের বিষয়ে আরো বেশি আশাবাদী সবাই। পাকিস্তানকে হারিয়ে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরুক এখন এটাই সবার প্রত্যাশা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত