স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০১৯ ০২:০৮

এই বিশ্বকাপ খেলারই কথা ছিল না স্টোকসের

ইতিহাসে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। ইয়োইন মরগানের নেতৃত্বাধীন দলটির একজন সদস্য রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন- তিনি বেন স্টোকস। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। অথচ, এই বিশ্বকাপ খেলারই কথা ছিল না স্টোকসের। এখন তার থাকার কথা ছিল জেলে কিংবা দলের বাইরে। সেই ব্যাড বয় স্টোকস এখন ইংল্যান্ডের নয়নের মণি।

লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে রান তাড়ায় যখন ধুঁকছিল ইংল্যান্ড, জস বাটলারের সঙ্গে স্টোকসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল। বাটলারের বিদায়ের পর স্টোকস একরকম একাই টানেন দলকে। অপরাজিত থাকেন ৯৮ বলে ৮৪ রানে। শুধু ফাইনালেই নয়, টুর্নামেন্ট জুড়েই ৬৬.৪২ গড়ে রান করেছেন ৪৬৫, উইকেট নিয়েছেন ৭টি। এতটাই অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন স্টোক, দলের অধিনায়ক মরগান তাকে বলেছেন, 'সুপার হিউম্যান।'

অথচ, কিছুদিন আগেও স্টোকস শিরোনামে আসতেন কোনো না কোনো অপকর্ম করে। খ্যাপাটে এই অল-রাউন্ডার প্রায় নিয়মিতই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। এসবের ধারাবাহিকতায় স্টোকস বড় অন্যায় করে বসেন ২০১৭ সালে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের বাইরে মারামারি করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জাতীয় দলে নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। পেতে হয়েছে শাস্তি।

এসব কারণে ওই সময় মনে করা হয়েছিল, এই প্রতিভাবান অল-রাউন্ডারের ক্যারিয়ারটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল! মারামারির ঘটনা পরিক্রমার মাঝেই বিয়ে করেন স্টোকস। এরপরেই তার জীবন যেন পাল্টে যায়। পাল্টে যায় আচরণ। যার ভেতরে এত প্রতিভা, সে কি হারিয়ে যেতে পারে? তাই আবারও দুর্দান্তভাবেই জাতীয় দলে ফিরে আসেন স্টোকস। মারামারির ঘটনার নিস্পত্তি না হলে হয়তো তাকে এখন জেলে থাকতে হতো। সেই স্টোক এখন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের মহানায়ক। স্টোকস যেন দেখিয়ে দিলেন, চেষ্টা থাকলে, ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত