স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৭:১৭

টানা ৬ ম্যাচে বোল্ড তামিম ইকবাল

প্রদীপের এই ইয়র্কারে আউট হননি তামিম, তবে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি এ ওপেনার। ছবি: এএফপি

ব্যাটিংয়ে বড্ড দুঃসময় যাচ্ছে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে টানা ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

প্রথম ম্যাচে ৫ বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৯ রান। আউট হওয়ার ধরনটাও একই, বোল্ড। এনিয়ে টানা ৬ ম্যাচে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এই ওপেনার।

মাশরাফির ইনজুরির কারণে নেতৃত্ব ভার এই সিরিজে তামিমের কাঁধে। ফর্ম হারানোর চাপ এবং নেতৃত্বের চাপ সামলাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে শুরুর দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন তামিম।

দুই ম্যাচেই বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার। এছাড়া বিশ্বকাপের শেষ চার ম্যাচেও বোল্ড হন তিনি। সর্বশেষ ছয় ম্যাচেই উপড়ে গেল তামিমের স্টাম্প।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মালিঙ্গার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে প্রথম ওভারেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। কোন রানই যোগ করতে পারেননি নিজের নামের পাশে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তাকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হতো। শুরুতে সৌম্য সরকার ফিরে যান। কিন্তু সাবধানী তামিম অফের বাইরে ইসুরু উদানার করা বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন। ফিরে যান ইনসাইড-এজ হয়ে।

এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বোল্ড হন তামিম। শুরুতে পাকিস্তানের করা বড় রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ওপেনার ২১ বলে ৮ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন। তার আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বোল্ড হন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩১৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামে। তামিম ওই ম্যাচে মোহাম্মদ শামির বলে ৩৯ বলে ২১ রান করে বোল্ড হন।

এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তান-ভারতের আগে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট করে ২৬২ রান তোলে। ওপেনার তামিম খুবই সাবধানী শুরু করার পরও মোহাম্মদ নবীর স্পিনে বোল্ড হন ৫৩ বলে ৩৬ রান করে। এবারের বিশ্বকাপে তামিম একমাত্র হাফসেঞ্চুরি পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ৭৪ বলে ৬২ রান করে মিশেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন দেশসেরা এই ওপেনার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত