স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:০০

বাংলাদেশের রেকর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ

ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশড হয়ে এমনিতেই লজ্জায় পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সেই ক্ষতের দাগ আরও গভীর করে দিয়েছে একটি পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডটা এতদিন ছিল কেবল বাংলাদেশের একার। তাতে এবার ভাগ বসিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গায়ানার প্রভিডেন্সে বিরাট কোহলিদের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে উইন্ডিজ। আগের দুটি ম্যাচেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি কার্লসো ব্র্যাথওয়েটরা। করেছিলেন অসহায় আত্মসমর্পণ। ফল, সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে উইন্ডিজ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫৭তম হার। এই ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ২০০৬ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১১৩ ম্যাচ খেলে অর্ধেকের বেশিটিতেই হারের স্বাদ নিয়েছে। জিতেছে ৪৯টিতে। টাই হয়েছে ৩ ম্যাচ। ৪ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি। উইন্ডিজের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেও অবশ্য ৫৭টি হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।

২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। জিতেছে মাত্র ২৬টিতে। জয়ের হার ৩১.৩২ শতাংশ। ফল হয়নি ২ ম্যাচে। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণে ছয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও তেমন কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। প্রথমবার (২০০৭ আসর) সুপার এইটে খেলাটাই টাইগারদের সর্বোচ্চ অর্জন হয়ে আছে।

যৌথভাবে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ-উইন্ডিজের পর হারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা ১১৪ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৫৬টিতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে আরও পাঁচটি দল।

নিউজিল্যান্ড ১১৮ ম্যাচের ৫৩টিতে হেরেছে। ১১৬ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হার ৫২টি। পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের হার সমান ৫০টি করে। এদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে মাত্র ৬৬ ম্যাচ খেলেই হারের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছে। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান (১৪৩টি)। ইংল্যান্ড মাঠে নেমেছে ১০৯ ম্যাচে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত