স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:২৯

আফগানদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টে হারের শোধ তোলা হলো না বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের কাছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হারলো তারা। মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিং ঝড়ে আফগানরা ১৬৫ রানের টার্গেট দিলে স্পিন বিষে ২৫ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা।

মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের স্পিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ১৯.৫ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় তারা। এর আগে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করেছিল আফগানিস্তান।

ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম নেমে বিস্ময় জাগান। কিন্তু তাদের কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মুজিব উর রহমানের শিকার হন লিটন। ২ বল খেলে রানের খাতা না খুলে ভুল শটে নাজীব তারাকাইকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ওপেনার।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১১ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান মুশফিক। দ্বিতীয় ওভারে ফরিদ আহমেদের পঞ্চম বলে স্কুপ করতে গিয়ে বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি। ৩ বলে মাত্র ৫ রানে বোল্ড হন তিনি।

মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। মুজিব তার তৃতীয় ওভারে শিকার করেছেন সাকিব ও সৌম্য সরকারকে। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অনে রশিদ খানের সহজ ক্যাচ হন সাকিব। ১৩ বলে ২ চারে মাত্র ১৫ রান করে অধিনায়ক। ওই ওভারের শেষ বলে সৌম্য এলবিডাব্লিউ হন একমাত্র বল খেলে। ৩২ রানে নেই ৪ উইকেট।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮ রান করা বাংলাদেশ এরপর লড়াই করে সাব্বির রহমান ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। রশিদের প্রথম ওভারে সাব্বির জীবন পান। দশম ওভারে আফগান অধিনায়কের এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আউট দেন। সাব্বির রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ৮ রানে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েন তিনি।

এই জুটি ফিফটি করলেও হাফসেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। গুলবাদিন নাইবের দ্বিতীয় ওভারে তারাকাইয়ের ক্যাচ হন তিনি, ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৪ রান করে।

৫৮ রানের এই জুটি ভাঙার পর ক্রিজে থাকতে পারেননি সাব্বিরও। পরের ওভারে ২৪ রানে মুজিবের চতুর্থ শিকার হন তিনি। গুলবাদিন তার ক্যাচ নেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছিলেন আফিফ হোসেন। দলকে জিতিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই একই আফিফকে দেখা গেলো না। ১৫ রানে রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ নিয়ে জীবন পান তিনি। কিন্তু আর একটি রান করে পরের ওভারে গুলবাদিনের শিকার হন আফিফ। ১৪ বলে ২ চারে ১৬ রান করে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ক্যাচ দেন তিনি।

প্রথম তিন ওভারে উইকেট শূন্য থাকা রশিদ তার শেষ ওভারে জোড়া আঘাতে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন (১২) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে (২)।

শেষ ওভারে ফরিদ আহমেদের প্রথম চার বলে এক ছয় ও দুটি চার মেরে পঞ্চম বলে আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। ৭ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

আফগানদের পক্ষে মুজিব সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। দুটি করে পান রশিদ ও গুলবাদিন।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে সাইফ ও সাকিবের বোলিংয়ে চমৎকার শুরু হয় বাংলাদেশের। কিন্তু নবীর ব্যাটিং ঝড়ে তাদের সামনে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আফগানিস্তান।

৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আসগর আফগানের সঙ্গে ৭৯ রানের শক্ত জুটি গড়েন নবী। ৫৪ বলে ৩ চার ও ৭ ছয়ে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪১ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন নবী। এছাড়া আসগর করেন ৪০ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সাইফউদ্দিন নেন ৪ উইকেট। দুটি উইকেট পান সাকিব আল হাসান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত