স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ২৩:২০

অথচ খেলাই নিশ্চিত ছিল না রদ্রিগোর

বয়স মাত্র আঠারো; চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের ঠিক আগের দিনও অভিষেকে নিশ্চিত ছিলেন না তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো গোয়েস শেষ পর্যন্ত খেলেছেন, এবং মাঠ আলো করে তবেই ফিরেছেন।

না, তার পা থেকে আসেনি কোনো গোল। এমনকি একমাত্র গোলের অ্যাসিস্টও করেননি তিনি, তবু নিজের জাত চিনিয়েছেন মাঠে। স্বভাবত হাসি ফুটেছে জিদান অ্যান্ড কোং-এর মুখে। ফল তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাইকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়াল মাদ্রিদের একাধিক খেলোয়াড়ের চোটে পড়ায় মূলত রদ্রিগো ছাড়া আর কিছু ভাবার উপায় ছিল না জিনেদিন জিদানের। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটা হারলে জিদানের চাকরি নিয়েই টানাটানি পড়ে যেত। অথচ কোচের চিন্তা নিমেষেই দূর করে দিলেন এ তরুণ।

গ্যালাতাসারাইয়ের মাঠে প্রতিকূল পরিবেশে হয়েছে খেলাটা। সে পরিবেশেই চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষিক্ত হলেন রদ্রিগো গোয়েস। গোটা ম্যাচজুড়ে যে পরিপক্বতা দেখালেন, কে বলবে এই ছেলের বয়স মাত্র আঠারো! অথচ এই রদ্রিগোতেই চলতি মৌসুমে রিয়ালের যুবদলের হয়ে খেলতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জিদান। সুযোগ পেয়ে সেই রদ্রিগো জানিয়ে দিলেন, যুবদল নয়, মূল দলের খেলোয়াড়দের সাহায্য করার বয়স হয়ে গিয়েছে তার।

রিয়ালের হয়ে একটি মাত্র গোল করেছেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস, সহায়তা করেছেন এ মৌসুমেই চেলসি থেকে দলে আসা এডেন হ্যাজার্ড। তবে ঠান্ডা মাথায় খেলে সবার তারিফ কুড়িয়েছেন এই রদ্রিগোই।

৮২ মিনিট মাঠে থেকে ৩১টা সফল পাস দিয়েছেন, পাস সফলতার হার ৭৪%। গোলমুখে শট নিয়েছেন তিনটি, আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ পাস পাঠিয়েছেন দুটি, সফল ড্রিবল তিনটি। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। দুটি করে ট্যাকল আর ইন্টারসেপশন করেছেন।

রিয়ালের মূল দলের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মাত্র ১৮ বছর বয়সের এ তরুণের কাছে এর থেকে বেশি কী আর চাইতেন জিদান?

অথচ রদ্রিগোর এ ম্যাচে খেলার কথাই ছিল না। ম্যাচের একদম আগ দিয়ে তাকে জানান হয়, মূল একাদশে আছেন। রদ্রিগো বলছেন, ‘আমি আজকেই জানতে পেরেছি যে আমাকে খেলানো হবে। সত্যি বলতে কি, আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাঠে আমি বেশ উপভোগ করেছি। সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য!’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত