স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ০৯:৩৯

শাস্তি কমাতে যা করতে হবে সাকিবকে

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটা গ্রহণ না করলেও বিষয়টি জানানোর কথা ছিল আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে, কিন্তু সেটা না করায় দুই বছরের জন্যে নিষিদ্ধ হয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের একনম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর মাঝে আছে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এ ঘটনায় নিজের দায় ও শাস্তি মেনে নিয়েছেন।

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের মূল ভরসা সাকিবকে ভারত সফর তো পাচ্ছেই না বাংলাদেশ, আরও মিস করবেন পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বটাও সাকিবকে ছাড়া কাটাতে হবে বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে ৩৬টি ম্যাচে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ।

সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় ক্রিকেটেও খেলতে পারবেন না তিনি। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষেই সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি না এনিয়েও প্রশ্ন আছে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাকিবের প্রত্যাবর্তনের দিন ঠিক হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তবে এরমাঝে আছে স্থগিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও; আগামী এক বছর সাকিবের ওপর কড়া নজরদারি করা হবে। কিছু ব্যত্যয় হলেই নিষেধাজ্ঞা এক থেকে দুই বছর হয়ে যাবে।

এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞাও কার্যকর হয়ে যেতে পারে যদি এরমধ্যে আবার কোনো কিছুতে জড়ান তিনি, সেটা নিশ্চিত করতে হবে সাকিবকে। ফেরার উপায়টা বলে দিয়েছে আইসিসিই। মঙ্গলবার সংস্থাটির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থগিত ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা যেন কার্যকর না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে সাকিব আল হাসানকে যে শর্তগুলো পালন করতে হবে তার মধ্যে আছে- নিষেধাজ্ঞার সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন বা কোনো দেশেরই দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙা যাবে না; এবং আইসিসি যেভাবে বলে দেবে ঠিক সেভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষাকার্যক্রম ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় ও পরিপূর্ণভাবে অংশ নিতে হবে।

এ দুটি শর্ত পূরণ হলেই এক বছরেই শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা। শাস্তি কমাতে সেটাই করতে হবে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত