স্পোর্টস ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০২:০২

বিপিএল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স যখন ‘অট্টগ্রাম চ্যালেন’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সপ্তম আসরে এসে বিশেষ আয়োজনের নামে নাম নিয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিসিবির পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে এবারের এই বিশেষ বিপিএল। ইতোমধ্যেই বলিউড তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের উপস্থিতিতে হয়েছে এর ঝমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রিকেট বিষয়ক কিছু না থাকলেও বুধবার শুরু হয়েছে মাঠের ক্রিকেট। উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয় সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচে সিলেট থান্ডারের দেওয়া ১৬৩ রানে লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে অতিক্রম করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

চট্টগ্রামের জয়সূচক রান আসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে। তার ব্যাট থেকে বাউন্ডারিতে গড়ায় বল। এরপর বিগ স্ক্রিনে অভিনন্দন জানানো হয় বিজয়ী দলকে। আর এখানেই ঘটে বড় বিপত্তি।

ওখানে দেখা যায় সেখানে লেখা ‘অট্টগ্রাম চ্যালেন উইন বাই ৫ উইকেটস’! বিগ স্ক্রিনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আয়োজকরা ‘অট্টগ্রাম চ্যালেন’ লিখেছে। তাতে হাসির রোল পড়ে যায় পুরো স্টেডিয়াম জুড়েই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবিও হয়েছে ভাইরাল।

জাতির জনকের নামে নামকরণ করা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম দিনে অনেক অসঙ্গতিই চোখে পড়েছে। অথচ আয়োজকরা বলেছিল, ‘এবারের বিপিএল ছাড়িয়ে যাবে আগের সব আয়োজনকে।’ কিন্তু কথায় আর কাজে ছিল গরমিল।

আগের দিন অফিসিয়াল ফটোসেশনে অনুপস্থিত দুই দলের অধিনায়ক। ছিল না বিপিএলের ট্রফি। কোনও বিশেষ আয়োজন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের রাতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছিলেন, ‘বিপিএলে স্পাইডার ক্যাম, ড্রোন ক্যামেরা থাকবে।’ তার কথা মতো স্পাইডার ক্যাম ও ড্রোন ক্যামেরাও ছিল। কিন্তু দিনের ম্যাচে সেগুলোর একটিও কাজ করেনি। যে কারণে টিভি সম্প্রচারে এই ক্যামেরার কার্যকারিতা চোখে পড়েনি।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্পাইডার ক্যাম কাজ করেনি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে মাঠে নড়াচড়া করাতে দেখা গেছে ক্যামেরাটিকে। কিন্তু সম্প্রচারে নিয়োগ ছিল কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।

আয়োজকদের এই অব্যবস্থাপনার বাইরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর টিম ম্যানেজমেন্টের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সিলেট থান্ডারের ব্যাটসম্যানরা একেক জন একেক রঙের হেলমেট পরে মাঠে নেমেছেন। সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিজের প্যাডের সবুজ রং ঢাকতে ব্যবহার করেন কালো কাপড়। এছাড়া হেলমেটের লোগো এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে টেপ পেঁচিয়ে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উইকেটরক্ষক কিপিংয়ের সময় ব্যবহার করেছেন জাতীয় দলের প্যাড।

এছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যানেজার ফাহিম মুন্তাসির সাদা কাগজে হাতে লেখা প্লেয়ার লিস্ট তৈরি করেছেন যেখানে ম্যানেজারের স্বাক্ষর থাকলেও ছিল না অধিনায়কের স্বাক্ষর। অথচ অধিনায়কের স্বাক্ষর ছাড়া প্রতিপক্ষ দল টিম লিস্ট গ্রহণ করে না সাধারণত।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুটা হলো এমন অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। টিকিটের দাম চড়া হওয়ায় দর্শক-খরায় ভুগেছে স্টেডিয়াম। হাজার খানেক দর্শক দেখেছেন ম্যাচ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত