৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৫:৫২
জুনিয়র
স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি)-২০১৪ এর ফলাফল মঙ্গলবার
সকালে ঘোষণা করা
হয়েছে। এ পরীক্ষায় ফলাফলের দিক থেকে সিলেট বিভাগের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল
করেছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ.সিলেটের। জেএসসি পরীক্ষায়
এ প্রতিষ্ঠানটির ২০২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। তন্মধ্যে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৪ জন শিক্ষার্থী। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় সিলেট বিভাগের
শীর্ষ ২০টি প্রতিষ্ঠান সংখ্যানুক্রমিক ধারাবাহিকতায় তুলে ধরা হচ্ছে।
শীর্ষ ২০ এর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির
৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সিলেটের
সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
২৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তন্মধ্যে সবাই পাশ করলেও
জিপিএ-৫ পেয়েছে
১৬৯ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের
২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭ জন।
পঞ্চম স্থান অধিকার করা হবিগঞ্জের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩০ জন শিক্ষার্থী
জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের সবাই পাশ
করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩০ জন। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিলেটের ব্লু
বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠানটির ২৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে সবাই। জিপিএ-৫
পেয়েছে ১৩৮ জন। শীর্ষ ২০ এর সপ্তম অবস্থান দখল করেছে সিলেটের স্কলার্সহোম। এ প্রতিষ্ঠানের ১৬১ জন
শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ
করেছে ১৬০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ জন। তালিকার অষ্টম স্থানে
রয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টমেন্ট
বোর্ড হাইস্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ১১৩ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬০ জন।
শীর্ষ ২০ এর নবম স্থানে আছে হবিগঞ্জের বি.কে.জি.সি. সরকারি বালিকা
উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির ২৫৭ জন
শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে সবাই। তন্মধ্যে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩
জন। দশম স্থানে রয়েছে মৌলভীবাজারের বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ। পরীক্ষায়
এ প্রতিষ্ঠানের ১২০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে সবাই এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫ জন। তালিকার এগারতম
স্থানে অবস্থান রোকেয়া খাতুন
লাইসিয়াম স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ৮১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ
করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে
৩৯ জন। মৌলভীবাজারের দ্য ফ্লাওয়ার’স
কে.জি. এন্ড উচ্চ হাই স্কুল
রয়েছে বারোতম স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের ১১৭ জন শিক্ষার্থী
পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১৬
জন পাশ করেছে এবং ৫৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শীর্ষ ২০ এর তেরোতম
স্থানে রয়েছে সিলেটের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
এটির ৩০৫ জন শিক্ষার্থী
পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন। চৌদ্দতম অবস্থান মৌলভীবাজারের দ্য বাডস
রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এ
প্রতিষ্ঠানের ১৫২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১৫০ জন
এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে
৫১ জন। পনেরতম স্থানে থাকা হোমল্যান্ড আইডিয়াল স্কুলের ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাশ করেছে এবং
১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তালিকার
ষোলতম স্থানে আছে সেইন্ট মার্থাস জুনিয়র হাই স্কুল।
প্রতিষ্ঠানটির ৫৪ জন শিক্ষার্থী
পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে সবাই এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন।
শীর্ষ
২০ এর মধ্যে সিলেটের শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড
কলেজের অবস্থান সতেরতম
স্থানে। প্রতিষ্ঠানটির ২২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করলেও
৬০ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। গোবিন্ধপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে আঠারতম স্থানে।
এ প্রতিষ্ঠানের ১৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে সবাই এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে
৪৪ জন। উনিশতম স্থানে থাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৫ জন
শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে সবাই এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। শীর্ষ
২০ এর শেষ অবস্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জের সরকারি এস.সি. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এ প্রতিষ্ঠানের ২১৪ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাশ করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন।
আপনার মন্তব্য