সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০১৬ ১৯:৫২

হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে সিসিকের অভিযান

বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে এবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। যারা হোল্ডিং ট্যাক্স এখনও পরিশোধ করেননি তাদের মালামাল ক্রোকসহ আইন মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবে সিটি কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ টিম।

সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত এই টিম মঙ্গলবার (১৭ মে) সিলেট মহানগরীর ১ নম্বর, ৯ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করে।

দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলর মো: মুসতাক আহমদ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শরীফুজ্জামান, ট্যাক্সেসেশন অফিসার মো: আব্দুল আজিজ, লাইসেন্স অফিসার হেলাল উদ্দিন, এ্যাসেসর চন্দন দাশসহ সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।

অভিযানকালে উত্তর বাগবাড়ীর মদীনা টাওয়ারের ১৬ লাখ টাকা বকেয়া আগামী ৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের বন্ড দেন টাওয়ার কর্তৃপক্ষ। স্কলার্সহোম পাঠানটুলা শাখা ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আগামী ৩দিনের মধ্যে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। অন্যদিকে আম্বরখাানস্থ করিমা ম্যানশনের ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আগামী ৩দিনের মধ্যে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন এই ভবনে অবস্থিত সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভবন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এই বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের নিশ্চয়তা দেন। অন্যদিকে আম্বরখানার জান্স কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পূববর্তী বকেয়া হিসেবে পাওনা ৫ লাখ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স তিনদিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।

অভিযানকালে সিলেট মহানগরীর সোবহানীঘাটের আঙ্গুরা টাওয়ারের (বেস্ট বাই শো রুম) ৯ লাখ টাকা বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আগামীকাল বুধবার অফিস চলাকালীন সময়ে এসে পরিশোধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন ভবন মালিক কর্তৃপক্ষ।

এই অভিযানের ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান হোল্ডিং ট্যাক্সের বকেয়ার পরিমান প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। অন্যান্য সিটি কপোরেশনের তুলনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের পরিমানও কম। সুতরাং সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে সম্মানিত নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান ট্যাক্স প্রদান করা উচিত।’

এনামুল হাবীব আরো জানান ‘একাধিক নোটিশ প্রদানের পরও যারা এখনও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করবেন না তাদের মালামাল ক্রোকসহ আইন মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত