সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ মে, ২০১৬ ২২:৫৭

জামায়াত ক্যাডার নজরুল ফোকনের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হবিনন্দিবাসী

সিলেটে জামায়াত ক্যাডার নজরুল ইসলাম ফোকন ওরফে কিরণের যন্ত্রণায় অতিষ্ট সিলেট দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের হবিনন্দিবাসী। এলাকাবাসী তাদের জানমাল ও মানসম্মান রক্ষায় নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী এ দাবি জানান।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের হবিনন্দির জুনেদ আহমদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকার ফারুক মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়- মোগলাবাজার থানাধীন পশ্চিমভাগ নোয়াগাওঁয়ের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র নজরুল ইসলাম ফোকন ওরফে কিরন ১৮ মার্চ গ্রামে আয়োজিত জলসায় মদ্যপ অবস্থায় হামলা করে মাইক বন্ধ করে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে নজরুল নিজে তার স্কুলে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে এলাকাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালায়।

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা সরেজমিন তদন্ত করলে ঐ ঘটনা ফোকন ওরফে কিরণের সাজানো নাটক বলে প্রমানিত হয়।  সে জামায়াতে ইসলামীর একজন পরিচিত ক্যাডার ও সন্ত্রাসী। হবিনন্দী গ্রামে তার মা ও খালার রয়েছে মৌরসী সত্ব। এ নিয়ে তার মা ও খালার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠলে এলাকাবাসী তা মীমাংসা করে দেন এবং লিখিত সালিশনামার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি করে দেন। এরপর থেকে নজরুল ইসলাম ফোকন ওরফে কিরণ স্থানীয় মুরব্বি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদেও বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। নানাভাবে হয়রানি কওে এলাকাবাসীকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- নজরুলের স্কুল তাওহীদ একাডেমীকে সে মদপান ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত করেছে। রাতভর সে মদ ও নারী নিয়ে এ স্কুলে সময় কাটায়। নজরুলের কারণে এলাকার মহিলারা নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি মসজিদের ইমামও নিরাপদ নন।

নজরুল ২০১১ সালে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার একটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে আইডিকার্ড ও পাসপোর্ট বানিয়ে সে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে চলাচল করে। এড়িয়ে যায় অপরামূলক কর্মকান্ডের শাস্তি। নজরুলের নির্যাতন নিপীড়ন থেকে তার আপন বোনও রক্ষা পায়নি। সম্প্রতি বোনের দায়ের করা মামলায় সে কারাভোগও করে। এলাকাবাসী তাদের সামাজিক শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াত ক্যাডার নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হবিনন্দি এলাকার মুরব্বি তমজিদ মিয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজম খান, ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন ইরান, সাধারণ সম্পাদক ছয়েফ খান, আব্দুল জলিল ময়না, রিয়াজ মিয়া, বাবুল মিয়া, ফজলু মিয়া, আব্দুল বাছিত, বাবুল মিয়া, শাহিন আহমদ, উজ্জ্বল আহমদ, মইন উদ্দিন, জাবের আহমদ, ফয়েজ উদ্দিন পলাশ, মাছুম আহমদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত