ওসমানীনগর প্রতিনিধি

১৮ মে, ২০১৬ ২১:৪৮

ওসমানীনগরে ব্রিটিশ শিশুকে হত্যার অভিযোগে মামলা

সিলেটের ওসমানীনগরে ব্রিটিশ নাগরিক এক শিশুকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের চাচাত্ব ভাই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়নের পাড়ারগাঁও গ্রামের রুহুল আমিন এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৬৩/১৬।

মামলার আসামিরা হলো- ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের দাসপাড়া রোডের কবিতা মঞ্জিলের মৃত আবদুল মছব্বিরের ছেলে আখলিছ মিয়া আজাদ (৩৫), তার ভাই আলী হোসেন (৩২), আলম হোসেন (৩০) ও নূর আলম (২৫) ও আলী হোসেনের স্ত্রী (নাম অজ্ঞাত)।

মামলার আর্জিতে বাদী রুহুল আমিন উল্লেখ করেন, তার চাচা শহীদুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কবিতা বেগম ৪ সন্তান নিয়ে আখলিছ মিয়া আজাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে কবিতা ও আখলিছ মিয়ার ২ সন্তানের জন্ম হয়। কবিতার সাবেক স্বামীর সন্তানদের পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করতে থাকেন বর্তমান স্বামী আখলিছ মিয়া। এর অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে মা ও ভাইবোনকে ব্রিটেনে রেখে কবিতার ছেলে ৬ বছর বয়সী ওয়াহবিবকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাদীর চাচা শহীদুল ইসলাম মারা গেলে সন্তানদের পিতার লাশ দেখতে দেয়নি কবিতা বেগমের বর্তমান শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

গত ২৪ এপ্রিল কবিতা বেগমের শ্বশুরালয় থেকে জানানো হয় ওয়াহবিব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা করলে ওসমানীনগর থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে পুলিশ ওয়াহবিবের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা (নং-০১/১৬) দায়ের করে। মামলায় ওয়াহবিবের পিতৃপরিচয় গোপন রেখে রহস্যের সৃষ্টি করেছে কবিতা বেগমের শ্বশুরালয়ের লোকজন। তাদের ধারণা পরিকল্পিতভাবে ওয়াহবিবকে হত্যা করে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের নাটক সাজানো হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, আদালত ওসমানীনগর থানার ওসিকে তদন্ত করে ১২ জুনের মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী এই ব্যাপারে আদালতের কোন নিদের্শ এখনো তার কাছে আসেনি দাবি করে বলেন, কাগজ হাতে পেলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত