দেবব্রত চৌধুরী লিটন

৩১ জুলাই, ২০১৬ ১৯:৪২

সিলেটের বাজারে দাম বেড়েছে চাল, সয়াবিন ও চা পাতার

সিলেটের বাজারে দাম বেড়েছে চাল, সয়াবিন তেল, চা পাতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। ৪ দিনের ব্যবধানে লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে দুই টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দায়ী করছেন বড় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদেরকে।

চালের উৎপাদন ভাল হওয়ায় অনেক দিন ধরেই স্থিতিশীল ছিল চালের বাজার। রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাড়তে থাকে এই খাদ্য পণ্যের দাম। বিভিন্ন জাতের চালে এ পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

রবিবার সিলেটের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল আগে বিক্রি হতো ৩৮ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, নাজির শাইল ৫২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, পাইজাম সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায় আগে যা বিক্রি হতো ৩৬ টাকা, মালা সুপার ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়, কাটারী চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, কালিজিরা চাল ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, চিনি গুড়া চাল ৯৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০- ১১৫ টাকায়। প্রায় সব জাতের চালের প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০-৮০০ টাকা।

বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ২ টাকা। পুষ্টি, তীর, মুসকান সহ বিভিন্ন কোম্পানির ৫ লিটারের বোতলের আগে দাম ছিল ৪৪০ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।

অপরদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশী দাম বেড়েছে চা পাতার। বাজারে গিয়ে দেখা গেল মেগনোলিয়া চা পাতার প্রতি কেজির দাম আগে যা ছিল ২৯০ টাকা, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফ্রেস কোম্পানির ১ কেজি চা পাতা আগে বিক্রি হতো ২৪২ টাকা বর্তমানে তা ২৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাজা চা পাতার ৪০০ গ্রামের প্যাকেট আগে খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ১৪৫ টাকায় যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, ইস্পাহানী কোম্পানির একই পরিমাণ চা পাতা আগে বিক্রি হতো ১৪৫ টাকায় এখন তা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকায়।
    
সিলেটের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী আনোয়ার হোসেনের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হটাৎ করে নিত্য-পণ্যের বাজারের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি বাড়ছে। তিনি বলেন, বেসরকারি চাকরিজীবী হওয়ার কারণে আমি মাস শেষে একটি নির্ধারিত বেতন পাই, যা দিয়ে সাড়া মাসই চলতে হয়। অত্যধিক দাম বাড়ার কারণে পরিবার নিয়ে চলাটা এখন খুবই কঠিন হয়ে পরছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকার জহির উদ্দিন তারু মিয়া নামের দোকানটির ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জানান, পাইকারি বাজারে বেশী দামে চাল কিনতে হচ্ছে বলে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে চাল, সয়াবিন, চা পাতা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম হটাত করে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সাথে আমাদের মাঝেমধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হচ্ছে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত