নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর, ২০১৬ ২২:৩৮

জাকির হোসাইনের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সভাস্থল ত্যাগ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের বক্তব্যের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভা থেকে বেরিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে এ সভায় যোগ দেন জাকির। তিনি বক্তব্য শেষ করেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন।

এরআগে বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিটে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সাথে সাথে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। তখন আগে থেকেই চলতে থাকা সভায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সবাই বসার জায়গা না পাওয়ায় এসময় মিলনায়তনে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে সভার কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে।

জাকির অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

কিছুক্ষণ পর কামরান তাঁর বক্তব্য মুলতবি করে জাকির হোসেনকে বক্তব্য দেয়ার আহ্বান জানান। এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক বছরের মধ্যে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বার সিলেটে আসায় এ অঞ্চলের মানুষ ধন্য। সিলেটের প্রতি নেত্রীর আবেগ রয়েছে। এজন্য তিনি আওয়ামী লীগের গত ২০তম সম্মেলনে সিলেট থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুইজন কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনের আগে সময়ের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঞ্চিত মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য। তিনি বলেছিলেন- ছাত্রলীগের ইতিহাস হবে বাংলার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু জীবনের তেরটি বছর কারাপ্রকোষ্টে কাটিয়েছিলেন। জাতির জনকের সোনার বাংলার গর্বিত কর্মী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের-ই হতে হবে।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করেন বলেন, তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার ও উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। যার যার এলাকার আশপাশের মানুষকে নিরক্ষরমুক্ত করতে, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়ন করতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্যোগী হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আগমন ও আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভা সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। দেশে গত ৮ বছরে যত উন্নয়ন হয়েছে তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তবেই আগামী নির্বাচনে আমরা বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে আবারো বিজয় উপহার দিতে পারবো।

নিজের বক্তব্য শেষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীদের মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন জাকির। তাঁর নির্দেশে সকলে বেরিয়েও যান।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত