নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:২৫

সিলেট নগরীতে নির্মিত হচ্ছে চার লেন সড়ক

সিলেট নগরীতে প্রথমবারের মতো চার লেন সড়ক নির্মান করতে চায় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। নগরীর দক্ষিণ সুরমার কীন ব্রিজ থেকে হুমায়ুন রশীদ চত্বর পর্যন্ত সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই সড়ককে চার লেনে উন্নীতের ফলে কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকার যানজট কমবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা।  

কীনব্রিজ-হুমায়ুন রশীদ চত্বরকে চারলেনে উন্নীতের পাশাপাশি দক্ষিণ সুরমার আরেক সড়ক কীনব্রিজ থেকে ঝালোপাড়া হয়ে কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত সড়ককে দুই লেনে উন্নীত করা হবে। এই দুই সড়ক সংস্কারে ব্যয় হবে সাড়ে ২৮ কোটি টাকা।  

সিসিক সূত্র জানায়, মিউনিসিপ্যাল গর্ভমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (এমজিএসপি)-এর অর্থায়নে এ দুটি সড়ক নির্মাণ করতে ইতোমধ্যে আনুষঙ্গিক সকল কাজ শেষ করা হয়েছে। ই-টেন্ডারও হয়ে গেছে। টেন্ডার বাছাই প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

পরবর্তীতে কার্যাদেশ দেয়া হবে। দু’মাসের মধ্যে এ সব কাজ শেষ করে দ্রুত সড়ক দুটির কাজ শুরু করতে চায় সিসিক। কাজ শেষ করতে ১০ মাস সময় বেঁধে দেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিনব্রিজ থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর চার লেন করতে প্রাক্কলিত ব্যয় ২০ কোটি ৫২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কটির মাঝখানে থাকবে ডিভাইডার। সড়কের দুপাশে থাকবে দেড় মিটার করে ড্রেন, লাগানো হবে সড়কবাতি, পরিবেশের স্বার্থে সড়কের দু’পাশে লাগানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। চারলেন সড়কটির দৈর্ঘ্য হবে ১৪শ’২৫ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ মিটার।

একইভাবে কিনব্রিজ থেকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত সড়ক দুই লেন করা হবে। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সড়কটির মাঝখানে ডিভাইডার, দুপাশে ২ মিটার করে ড্রেন, সড়কবাতি, ও সড়কের দু’পাশে লাগানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সড়কটির দৈর্ঘ্য থাকবে ১ হাজার ৫ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ মিটার।

এ ব্যাপারে সিসিকের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বলেন, আমার নির্বাচনি ইশতিয়ারে ওই দুটি বড় করার প্রতিশ্রুতি ছিল। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমি বিভিন্ন সময় সড়কটি নিয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করি। তিনি বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেন। কর্মকর্তারা মিউনিসিপ্যাল গর্ভমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (এমজিএসপি)-এর আওতায় কিনব্রিজ থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত চার লেন এবং কিনব্রিজ থেকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত দুই লেন করার প্রস্তাব করলে তা গৃহীত হয়। তিনি ওই কাজটি বাস্তবায়ন করার ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবকে ধন্যবাদ জানান।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, নগরীতে দিনদিন যানজট বেড়ে চলছে। বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনের কারণে কিনব্রিজ থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত সবসময় যানজট লেগেই থাকে। তাই এসককে চার লেন এবং কিনব্রিজ থেকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত দুই লেন এখন সময়ে দাবি। দুটি সড়ক হলেই ওই এলাকার যানজট কমে যাবে। পাশাপাশি বাস টার্মিনালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ফিরবে। এছাড়া ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধা বাড়বে ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন, সড়কটির কাজ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু করা হবে যা অক্টোবর মাসের মধ্যেই শেষ হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি এনেছি। তাদের শেষ সীমানায় সড়ক দুটির ড্রেন নির্মাণ করা হবে। সড়ক দুটি বড় করতে দুই সড়কেরই পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত