বানিয়াচং প্রতিনিধি,

১৮ জুন, ২০১৭ ০০:৫৩

বানিয়াচংয়ে লোকনাথ মন্দিরে দুর্বৃত্তের আগুন, লুটপাট

বানিয়াচং লোকনাথ মন্দিরে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মন্দিরের ভিতরে থাকা রক্ষিত বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে বানিয়াচং বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়ার (মোদক বাড়ি) সন্তোষ মোদকের বাড়ির লোকনাথ মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।

মন্দির সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ওই বাড়ির পূজারিরা মন্দিরে পূজা শেষ করে নিজ নিজ ঘরে শুয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পূজা দিতে গেলে দেখেন মন্দিরের ঘরের দরজার তালা ভাঙা। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা লোকনাথ মন্দিরের স্টিলের দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মন্দিরে রক্ষিত স্বর্ণের তুলসী, অলংকার, ৩টা ঘটি, সিংহাসন, কলস, স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সন্তোষ মোদক। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা লোকনাথের আসনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে মন্দিরের ফ্যান, বাতিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, বানিয়াচং ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিপুল ভূষণ রায়, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বপন কুমার দাস, সেক্রেটারি কাজল চ্যাটার্জি, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ দেব, সেক্রেটারি মাধব দেব, হিন্দু মহাজোটের আহবায়ক মদন মোহন চক্রবর্তী, সদস্য সচিব গৌতম পাণ্ডে, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন সুমন, চন্দন বিশ্বাস, রাধিকা দেব, রণজয় দাস বাপ্পী ও সুপ্রিয় মোহন পাল, বিষ্ণু গোপ প্রমুখ।

বানিয়াচং থানা পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে এসআই হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নাশকতা কিনা তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তবে এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

অন্যদিকে একই রাতে রিপন মোদকের ঘরের তালা ভেঙে ২টা গোপালের মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পিন্টু মোদক, প্রিয়তোষ মোদক ও বকুল মোদকের ঘরে তালা ভেঙে ঢুকার চেষ্টা করেছে তারা। লোকনাথ মন্দিরে আগুনের ঘটনার বিষয়টি এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত