শাকিলা ববি, হবিগঞ্জ

১৮ জুন, ২০১৭ ২১:১৫

এখনো অধরা ৪ আসামী, নিরাপত্তাহীনতায় সুখিয়াদের পরিবার

হবিগঞ্জের সুখিয়া রবি দাস হত্যাকাণ্ড

বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখল করতেই হত্যা করা হয় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুখিয়া রবি দাসকে। এরআগে  সুখিয়ার স্বামী ও কাকাকেও হত্যা করে এই গোষ্ঠি। প্রায় রাতেই তাদের হাতে নির্যাতিত হতে হয় এই বাড়ির নারীদের।

সুখিয়া হত্যার পর এই ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন তার বোন সোমা রবি দাস। মামলায় ছয়জনকে আসামী করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পেরেছে মাত্র দুইজনকে। বাকী ৪ জন এখনো অধরা। এরা সুখিয়ার পরিবারের সদস্যদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শায়েস্তাগঞ্জের নুরপুর ইউনিয়নের সুবারই গ্রামের এই পরিবারটির সদস্যরা।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সুতাং নদীর তীরে সুখিয়াদের বসতভিটার জমি দখল করতেই একের পর এক হত্যা-হামলার ঘটনা ঘটছে। নির্যাতন করা হচ্ছে নারীদের।

জানা যায়, স্বাধীনতার পর পরপরই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নদী তীরের ৮ শতক খাস জমিতে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন সুখিয়ার বাবা লাল চান রবি দাস ও কাকা সাম লাল রবি দাস।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৫ সালের দিকে সুখিয়াদের বাড়ির উপর দৃষ্টি পড়ে পাশ্ববর্তি ভূমির মালিক সুরাবই গ্রামের মৃত আব্দুল সমেদ খানের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ খান, আব্দুল হামিদ খান, আব্দুল আহাদ খানের।

সে বছরই লালচানের ঘর ভেঙ্গে দেয় দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ ওঠে হামিদ খানের নির্দেশেই ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর এলাকাবাসী ও প্রশাসনের চাপে হামিদ খান সুখিয়াদের ঘর তৈরি করে দিতে বাধ্য হন।

গত বছর সুখিয়াদের বাড়ির সীমানার ভেতরেই মার্কেট নির্মাণ করেন আহাদ খান। এসময় সুফিরারা বাধা দিলে আহাদ খানের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাইলু মিয়াসহ আরো কয়েকজন তাদের হুমকি দেয়। এরপর থেকেই সুফিয়াদের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চলে।  তাদের উচ্ছেদে চলে হামলা-নির্যাতন। সইলু মিয়ার নেতৃত্বে প্রতি রাতেই সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতো সুখিয়াদের বাড়িতে। নারীদের লাঞ্ছিত করতো।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর সুখিয়ার ভিটাতে বিবিএস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন ঘর তৈরি করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। ওই সময় ঘর তৈরিতে বাধা দেয় আহাদ খান ও তার সহযোগিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত