গিলাপ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে ৬৯৮তম বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শনিবার সকাল ৯টা থেকে মাজারে গিলাফ ছড়ানো হচ্ছে। চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দিনভল বৃষ্টি সত্ত্বেও ভক্তদের ঢল নেমেছে মাজার প্রাঙ্গণে।

রোববার ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাতের পর শিরনি বিতরণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবে ওরস।

ওরস উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছে শাহজালাল ভক্ত-আশেকানদের। সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ‘লালে লাল বাবা শাহজালাল’ জিকির তুলে মিছিলে মিছিলে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে গিলাফ ছড়াতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন ভক্ত আশেকানরা।

সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মাজারে গিলাফ ছড়াতে আসছেন। ওরসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পক্ষ থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা মাজারে গিলাফ দিয়েছেন।

ওসস উপলক্ষে সিলেট মহানগর পুলিশ পুরো মাজার এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। নিরাপত্তার স্বার্থে মাজারের ভেতরে ও বাইরে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, ওরসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিলেট মহানগর পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশের পাশাপাশি মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তৎপর রয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র ওরস চলাকালীন সময়ে আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা, দর্শন দেউরী হতে ঝর্ণারপাড়, রাজার গলি হতে মাজারের প্রধান গেইট, মিরের ময়দানস্থ হোটেল হেরিটেজ হতে ঝর্ণারপাড় রাস্তা এবং মাদরাসা সড়কস্থ পূবালী ব্যাংক গেইট হতে মিনার গেইট পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মাজার ও তার আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং না করার জন্য এসএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসলাম প্রচারের জন্য হজরত শাহজালাল (রহ.) ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ৩৬০ সফরসঙ্গী নিয়ে সিলেট আসেন। ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জিলকদ তিনি ইন্তেকাল করেন। সিলেটের দরগাহ গেট এলাকায় তিনি যে টিলায় বসবাস করতেন সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।