মো. মুন্না মিয়া, জগন্নাথপুর

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২১:১৯

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারায় নদীতে নৌকা বাইচ সম্পন্ন

'কোন মিস্ত্রি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়, ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে ময়ূর পঙ্কি নায়...' লোকসংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার মানুষের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ।

নদী মাতৃক বাংলাদেশে নদীর তরঙ্গের সঙ্গে যেমন এদেশের মানুষের মিতালি, তেমনি হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে নদী ও হাওরের সম্পর্ক একেকার হয়ে মিশে আছে। এ এলাকায় নৌকা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় এখানের মানুষের প্রাণোচ্ছল জল ক্রীড়া সঙ্গী।

সম্প্রতি বন্যায় সুনামগঞ্জের ফসল হারা মানুষ দুঃখ বেদনা ভুলে ঐতিহ্যের অন্যমতম বিনোদন নৌকা বাইচ দেখতে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ফেরী ঘাটে প্রবাহমান কুশিয়ারা নদীর পাদদেশে জড়ো হয়ে নারী, শিশু সহ সকল শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। নদীর দু’পাড় ও বুকজুড়ে ‘হেইয়ারে হেইয়া হু’ হর্ষ ধ্বনীতে মুখরিত ছিল। রোমাঞ্চকর এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় জগন্নাথপুর উপজেলার আলাগদি গ্রামের মানিক মিয়ার রিয়াজ পবন, পাইলগাঁও গ্রামের ডুবাই প্রবাসী জগন্নাথপুর বাজারে অভিজাত বস্ত্র বপনী ফ্যামেলী শপের এমডি জহুর আলীর শাহ দামড়ী (জলপরী), নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব  বড়ভাকৈর ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামের তাহির মিয়ার শাপলাজল এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে।

প্রতিযোগিতায় আলাগদি গ্রামের রিয়াজ পবন প্রথম স্থান অর্জন করে, বাগাউড়া গ্রামের শাপলাজল দ্বিতীয় ও পাইলগাঁও গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী জহুর আলীর শাহ দামড়ী (জলপরী) তৃতীয় স্থান অর্জন করে। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. ছদরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য তেরাব আলী, মিলাদ আহমদ, সুলতান আহমদ, যুবলীগ নেতা সালেহ আহমদ, পিজিপি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, পরিচালকগনের মধ্যে হাজী একলাছুর রহমান আখলই, জিয়াউর রহমান, রাজীব তালুকদার, ইকবাল হোসেন, জালাল, আল-আমিন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত