নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:৫২

নগরীর ফুটপাত দখল ও আশ্রয়দাতা হিসেবে ১৬ জনের তালিকা আদালতে জমা

সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলদার ও তাদের আশ্রয়দাতা হিসাবে ১৬ জনের তালিকা আদালতে জমা করেছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে এ তালিকা জমা দেয়া হয়।

এ তালিকা জমা দেয়ার কথা সত্যতা স্বীকার করে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা ১৫-১৬ জনের একটি তালিকা সকাল ১১টা নাগাদ আদালতে জমা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, হকার উচ্ছেদের স্বার্থে এ তালিকার নাম প্রকাশ করার জন্য আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান বলেন,  সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন সকাল ১১ টার দিকে এক তালিকা জমা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী, একটি পবিত্র নগরী আর এ নগরীতে দলমত ও ভয় ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নগরী রাস্তা-ফুটপাত হকারদের দখল মুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সিলেট সিটি মেয়র ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও এ অভিযানে আদালত সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ফুটপাত দখলদারদের তালিকা জমা দিতে না পারায় ১৬ অক্টোবর তাদের আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো। গত ৭ অক্টোবর আদালত এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মে ফুটপাত দখলকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে মেয়রকে নির্দেশ দেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এ ক্ষেত্রে মেয়রকে সহযোগিতার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকেও নির্দেশ দেন আদালত। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে নগরীর ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সিসিক। এ বৈঠকের পর গত ১ জুন থেকে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সিসিক। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সে অভিযানে ভাটা পড়লে অবৈধ দখলদাররা ফিরে আসে।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও ফুটপাত দখলকারী ও তাদের মদদদাতাদের তালিকা সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয়নি সিসিক।

গত ৮ জুন মেয়র প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করলে তাকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এর পর আরও তিন মাস অতিবাহিত হলেও মেয়র প্রতিবেদন দাখিল করেননি। একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েও কেন আদালতের আদেশ মেনে প্রতিবেদন দাখিল করছেন না, তার ব্যাখ্যা দিতে তলব করে আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত