সিলেটে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও এক ছাত্রলীগ কর্মীর। সোমবার বিকেলে নগরীর টিলাগড়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ওমর আহমদ মিয়াদ (২২) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। এতে আহত হয়েছেন আরও দুই কর্মী।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেটের টিলাগড়ে সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের অফিসে সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী জাকারিয়া মোহাম্মদ মাসুম। এনিয়ে গত ৭ বছরে সিলেটে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হলেন ৮ জন। এরমধ্যে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাই ঘটেছে টিলাগড় এলাকায়।

সোমবার বিকেলে হামলার পর আহত অবস্থায় মিয়াদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী নাসির ও তারিককেও  একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ওমর আহমদ মিয়াদ সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বালিশ্রি গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী। তার উপর হামলাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী গ্রুপের কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফখরুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ফখরুল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখায় কর্মরত।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টিলাগড় এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরেই সোমবার হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে ওসমানী হাসপাতালে উপস্থিত মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মওদুদ আহমদ আকাশ বলেন, ওমর আহমদ মিয়াদ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। সোমবার দুপুরে তাকে কারা ছুরিকাঘাত করেছে খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তবে ঘটনাস্থলে এসে আমরা হামলাকারীদের পাইনি।

তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, টিলাগড়ে ছুরিকাঘাতে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। ঘটনার পর টিলাগড় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।