চুনারুঘাট প্রতিনিধি

১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০১:৪৯

নবীগঞ্জের তাহমিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ছাত্রলীগ সেক্রেটারি

বিরল রোগে আক্রান্ত ৭ বছর বয়সী শিশু কন্যা তাহমিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টাবর) সকালে তাহমিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু তাহমিনাকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছিলেন তার মা। দীর্ঘদিন যাবত তাহমিনার পিতা নিখোঁজ রয়েছেন। টাকার অভাবে থমকে আছে তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন।  এ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদটি নজড়ে আসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইনের।

জাকির তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে বিরল রোগে আক্রান্ত নবীগঞ্জের তাহমিনা বাঁচতে চায়' শীরোনামের প্রতিবেদনটি শেয়ার করে লিখেন 'আসুন পাশে দাড়াই'। পরে তিনি তাহমিনার সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তাহমিনাকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

পরে ছাত্রলীগের সম্পাদক জাকিরের দেওয়া ঠিকানা মত বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতেই তাহমিনা ও তার মাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন তাদের নিকটাত্মীয় আহেমদ আজাদ মামুন। ঢাকা হাসপাতালের ঠিকানা ও যাতায়াতের খরচ বাবদ অর্থ তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।

গত মঙ্গলবার আইনশৃখলা কমিটির মাসিক সভায় তাহমিনাকে নিয়ে উপস্থিত হন তার মা, তখন উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনসহ অনেকে সহায়তায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা উঠে তাহমিনার জন্য। এছাড়া একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আরো ১০ হাজার টাকার মতো তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

উলেখ্য,  নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের প্রায় ২ বছর ধরে নিখোঁজ পিতা বাচ্চু মিয়ার মেয়ে তাহমিনা। দরিদ্র মায়ের চার সন্তানের মধ্যে সে তৃতীয়।  জন্মের পর স্বাভাবিক ছিল তার মেয়ে তাহমিনা। প্রায় দুই বছর আগে শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে তার চোখে বড় ধরনের আঘাত পায়। পরে তাকে নিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে সামান্য চিকিৎসা করানো হয়। প্রথমে সিলেটের ওসমানি মেডিকেলের এক চিকিৎসকের পরামর্শে অপারেশন করে চোখটি তুলে ফেলা হয়েছিল। এর পর থেকেই চোখে বিরল রোগে আক্রান্ত হয় তাহমিনা। তার পর থেকে তার মা মারুফা বেগম চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পড়েন বিপাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত