বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

০৯ নভেম্বর, ২০১৭ ১৮:০৩

রুকশানার বিয়ে ২০১৮ সালে!

রুকশানা বেগমের (১৭) বিয়ে ২০১৮ সালে দেয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুকশানার বাবা ফয়জুল ইসলাম ও মা মিনারা বেগম।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে লামাকাজি ইউনিয়নের দিঘলী গ্রামে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদারের নিকট রুকশানার বাবা-মা এ প্রতিশ্রুতি দেন।

জানা গেছে, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী (৯ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের আকলু মিয়ার ছেলে রুকন মিয়ার (২৮) সঙ্গে লামাকাজি বাজারে ‘চন্দ্রবান কমিউনিটি সেন্টারে’ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বাল্য বিয়ে হচ্ছে, এমন খবরে লামাকাজির দিঘলী গ্রামের কনে রুকশানার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার। সেখানে তিনি পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর  ২০১৮ সালে তাদের মেয়ে রুকশানার বিয়ে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন, লামাকাজি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহি উদ্দিন আহমদ, থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান, দিঘলী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঊষা রানী গোস্বামী, ইউপি সদস্য এনামুল হক ও ফয়সল আহমদ।

এ প্রসঙ্গে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর রোববার বর-কনে দু’পক্ষ লামাকাজি ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অঙ্গিকারনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   

আপনার মন্তব্য

আলোচিত